বাগেরহাট প্রতিনিধি: স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ বিধি না মেনে বাগেরহাট পৌরসভার নিয়োগ দেওয়া ১৫ কর্মচারীর জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
৭ জুলাই রোববার দুপুরে বাগেরহাট সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. আশরাফুল ইসলাম শুনানি শেষে জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ মামলায় অপর দুই আসামি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন এবং পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমান জামিনে রয়েছেন।
কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ বিধি না মেনে পাম্প অপারেটর হিসেবে দিপু দাসসহ মোট ১৭ জনকে বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ থেকে ২০২০ সালের ২৫ জুলাই পর্যন্ত মোট ১ কোটি ২৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮৫৩ টাকা আত্মসাৎ করা হয়।
জামিন না পাওয়া কর্মচীরা হলেন, পাম্প অপারেটর দিপু দাস, বাজার শাখার আদায়কারী আসাদুজ্জামান, সহকারী লাইসেন্স পরিদর্শক জ্যোতি দেবনাথ, সহকারী কর আদায়কারী মারুফ বিল্লাহ, সহকারী কর আদায়কারী বালী শফিকুল ইসলাম, বিল ক্লার্ক, পানি শাখার শারমিন আক্তার বনানী, ট্রাক চালক মো. হাচান মাঝি, সুইপার সুপারভাইজার হাসনা আক্তার, সুইপার সুপারভাইজার মো. জিলানী, এমএলএসএস তানিয়া, পাম্প চালক অপূর্ব কুমার পাল, পাম্প চালক নিতাই চন্দ্র সাহা, সহকারী পাম্প চালকমোহাম্মদ মেহেদী হাসান, সহকারী কর আদায়কারী সাব্বির মাহমুদ ও সহকারী কর আদায়কারী পারভিন আক্তার। তারা সবাই পৌরসভার সাবেক কর্মচারী।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৭ অক্টোবর দুদকের খুলনা কার্যালয় বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমানের দুর্নীতির তদন্ত শুরু করে। ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ১৭ জনকে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়ে সরকারি কোষাগার থেকে ১ কোটি ২৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮০০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়।
এছাড়া বাগেরহাটে আবাহনী ক্লাবের ট্রেইনিং সেন্টার ও বাগেরহাট ডায়াবেটিক হাসপাতাল কমপ্লেক্সের জন্য বরাদ্দ দেওয়া ১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মেয়র খান হাবিবুর রহমান ও বাগেরহাট পৌরসভার সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে অপর একটি মামলা হয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available