বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: শিক্ষাগত যোগ্যতার জাল সনদ দিয়ে ২০ বছর ধরে চাকরি করছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার মাগুরমারী উচ্চ বিদ্যালয়ে কম্পিউটার শিক্ষিকা রওশনারা আক্তার।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে সনদপত্র জাল প্রমাণিত হওয়ার ২০২০ সালে একটি তদন্ত রিপোর্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে দেওয়া হয়। তখনকার হিসাব অনুযায়ী, বেতন-ভাতা বাবদ গ্রহণ করা ৮ লক্ষ টাকা সরকারের কোষাগারে জমাদানের কথা বলা হয়। কিন্তু ওই টাকা ফেরত দেননি।
এমনকি অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি। তিনি এখনও বহাল তবিয়তে চাকরি করছেন। নিয়মিত বেতন-ভাতাও নিচ্ছেন।
অনুসন্ধান করে জানা যায়, পারিবারিকভাবে তিনি আওয়ামী লীগের সাথে সম্পর্কযুক্ত। তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটিকে ম্যানেজ করে টাকার বিনিময়ে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রেখে সনদ জাল প্রমাণিত হলেও বহাল তবিয়তে চাকরি করছেন অভিযুক্ত রওশনারা আক্তার।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতীন্দ্রনাথ রায় বলেন, এ বিষয়ে শুনানি চলমান রয়েছে। টাকা ফেরতের কথা বললে টাকা ফেরত দেবে শিক্ষিকা।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মনজুরুল হক বলেন, এ বিষয়ে কোনো তদন্ত রিপোর্ট অফিসে আসেনি, যদি তিনি চাকরিতে বহাল থাকেন তাহলে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available