জাবি প্রতিনিধি: কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে তেরো মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও হল কমিটি দিতে পারেনি জাবি শাখা ছাত্রলীগ। গত ২৩ জানুয়ারি শাখা ছাত্রলীগের সেক্রেটারি হাবিবুর রহমান লিটনকে তার অনুসারীরা ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার পর থেকে অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি হয় জাবি শাখা ছাত্রলীগের রাজনীতিতে। এতে পদ বাঁচাতে নানা ফন্দি আঁটতে থাকেন লিটন ও তার সহযোগীরা।
এর প্রেক্ষিতে ১৯টি হলের মধ্যে ১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার শেখ হাসিনা হল এবং শেখ রাসেল হলে কমিটি দেয় শাখা ছাত্রলীগ। এর মধ্যে শেখ হাসিনা হলের কমিটি পর্যালোচনা করে দেখা যায় ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির দুই জনই বিবাহিত এবং বাকিরা প্রায় নিষ্ক্রিয়। বিবাহিতদের অবস্থান কমিটির শীর্ষ পদগুলোতে। এর মধ্যে একজন সহ-সভাপতি পদধারী মীর নিশাত নাওয়ার, অন্য জন যুগ্ম-সাধারণ সাম্পাদক পদধারী ফাতেমা তুজ যোহরা।
এ বিষয়ে অন্য কয়েকটি ছাত্রী হলের নেত্রীদের সাথে কথা বললে তারাও এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। চাপের মুখে পদ বাঁচাতে তাড়াহুড়ো করে বিবাহিতদের দিয়ে কমিটি দেয়া হয়েছে এবং যাদেরকে মিটিং-মিছিলে দেখা যায় না তাদেরকে দিয়ে রেখেছে বড় বড় পদে, এমনটিই ভাষ্য তাদের।
বিবাহিত হয়েও কমিটিতে থাকার ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে ফাতেমা তুজ যোহরা বলেন, “পরিবারের সম্মতিতে আমার এঙ্গেজমেন্ট থেকে আকদ পর্যন্ত হয়েছিল কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়নি তখন।”
শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি আখতারুজ্জামান সোহেলর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘বিবাহিতদের নিয়ে হল কমিটি দেয়ার নিয়ম নেই। তবে কেউ তথ্য গোপন করলে আমরা খোঁজ-খবর নিয়ে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নিবো।’
এছাড়া, কমিটির প্যাডে অবাঞ্ছিত লিটনের অনুমোদন স্বাক্ষর দেখে ক্ষুব্ধ হন অনান্য হলের নেতাকার্মীরা। এর জেরে বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় দুইশতাধিক বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদচত্বর থেকে মিছিল নিয়ে কয়েকটি সড়ক ঘুরে উপস্থিত হন লিটনের আবাসিক হলের সামনে। প্রায় দেড় ঘণ্টা তারা সেখানে অস্থান করেন এবং নানা স্লোগান দিয়ে লিটনকে হল থেকে বের করে আনার চেষ্টা করেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available