লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে অপহরণের শিকার হয়েছেন লক্ষ্মীপুরের আইয়ুব খান রবিন (২৪)। তিনি ওই জাহাজের ইঞ্জিন ক্যাডেট পদে শিক্ষানবিশ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমি থেকে পড়াশুনা শেষ করে প্রায় ১০ মাস আগে তিনি চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম কোম্পানির এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে যোগদান করেন।
অপহৃত জাহাজের ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খান রবিন লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের চরবগা রাখালিয়া গ্রামের প্রয়াত আজহার মিয়ার ছেলে। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। এদিকে এক মাস আগে স্বামীকে হারানোর শোক কাটতে না কাটতেই ছেলের অপহরণের খবর শুনে বাকরুদ্ধ মা হোমায়রা বেগম।
রবিনের স্বজনরা জানান, রবিন একজন মেধাবী ছেলে। সেচট্টগ্রামে মেরিন একাডেমি থেকে পাশ করে ১০ মাস আগে চট্টগ্রামের কেএসআরএম গ্রুপের মালিকানাধীন একটি জাহাজে ইঞ্জিন ক্যাডেট পদে শিক্ষানবিশ হিসেবে যোগদান করেন। গেলো বুধবার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়ার খবরে হতবাক স্বজনরা। জিম্মিদশা থেকে রবিনকে ফিরিয়ে আনতে সরকারের প্রতিসহযোগিতা চান পরিবারের সদস্যরা।
আইয়ুবের বড় ভাইয়ের স্ত্রী নাছরিন বেগম জানান, ১২ মার্চ মঙ্গলবার বিকেলে আইয়ুব খান রবিনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তারা অপহরণের বিষয়টি জানতে পারেন। এরপর থেকে তার সাথে আর কোনো যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে আইয়ুবের মা হোমায়রা বেগম মাস খানেক আগে নিজ স্বামীকে হারিয়ে এমনিতেই বাকরুদ্ধ। এর মধ্যে সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে ছেলের জিম্মিদশার খবরে তিনি এখন মানসিকভাবে একেবারেই বিপর্যস্ত। কারো সাথেই কথা বলছেন না তিনি। তবে ছেলেক ফিরে পেতে সরকারের প্রতি আকুতি জানান মা হোমায়রা বেগম।
উল্লেখ্য, আফ্রিকার মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে দুবাইয়ে যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ বুধবার বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টার দিকে ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশি মালিকানাধীন এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি সোমালিয়ান জলদস্যুরা তাদের নিয়ন্ত্রণে নেয়। এ সময় জাহাজটিতে ২৩ জন নাবিক ছিলেন। জলদস্যুরা জাহাজটি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর নাবিকদের জিম্মি করে জাহাজটি সোমালিয়ার দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available