শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর এলাকায় কৃষক পর্যায়ে শুরু হয়েছে জিরা চাষাবাদ। কৃষি অফিসের সহায়তায় প্রদর্শনীর মাধ্যমে সর্ব প্রথম এই এলাকায় স্বল্প পরিসরে জিরার চাষ করছেন কৃষকরা।
ইতোমধ্যে জিরার গাছগুলো বড় হয়ে ফুল আসতে শুরু করেছে। জিরার এমন ফলন দেখে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। জিরা চাষে সফলতার মুখ দেখবেন এমনটি আশা করছেন তারা।
জানা গেছে, দেশে প্রতি বছর জিরার চাহিদা থাকে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার মেট্রিক টন। বারি জিরা-১ জাতের জিরার গাছ লম্বা ও ঝোপালো। উচ্চতা ৪০-৫০ সেন্টিমিটার। গাছের পাতার রং গাঢ় সবুজ। ফুলের রং গোলাপি। কৃষক পর্যায়ে চাষ উপযোগী এ জাতের জিরার জীবনকাল ১০০-১১০ দিন। বাজারে প্রাপ্ত জিরা অপেক্ষা অধিক সুগন্ধি। এ জাতের জিরার হেক্টর প্রতি ফলন ৫৫০-৬০০ কেজি।
শিবগঞ্জ উপজেলার রহবল ব্লকে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো. সাইফুর রহমান জানান, জিরা একটি অতি মূল্যবান এবং চ্যালেঞ্জিং মসলা জাতীয় ফসল। গত বছর থেকে জিরার চাষাবাদ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। জিরা ফসলের রোগবালাই অন্যান্য মসলা জাতীয় ফসলের তুলনায় একটু বেশি হয়ে থাকে। এ জন্য জিরা চাষে নিবিড় পরিচর্যার প্রয়োজন। কোনো ধরনের প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা না আসলে আগামী এক মাসের মধ্যে জিরা সংগ্রহ করা যাবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আল মুজাহিদ সরকার জানান, মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় প্রদর্শনী আকারে জিরার চাষাবাদ হচ্ছে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায়। জিরার চাষাবাদ এ বছর স্বল্প পরিসরে হলেও আমাদের বাস্তবায়িত প্রদর্শনী থেকে উৎপাদিত জিরা বীজ হিসেবে ব্যবহার করে আগামী মৌসুমে এর আবাদ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। আশা করছি ফলন ভালো হলে চলতি বছরের চেয়ে আগামীতে বগুড়ায় জিরার চাষ বৃদ্ধি পাবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available