পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: স্বামীর মৃত্যুতে হঠাৎই পাল্টে যায় বিফি রানীর জীবন। বেঁচে থাকার তাগিদে স্বামীর পেশা জুতা সেলাইকে বেছে নিতে বাধ্য হন তিনি। জুতা সেলাই করে উপার্জিত অর্থে ১১ সদস্যের সংসারের হাল ধরেছেন এ নারী।
দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের বড় হরিপুর প্রামানিক পাড়ার গণিক চাদের স্ত্রী শ্রীমতি বিফি রানী। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি ছিলেন স্বামী গণিক চাদ। পাশের বছির বানিয়া বাজারে জুতা সেলাই করতেন তিনি। তবে, বছর দুয়েক আগে হঠাৎ স্বামীর মৃত্যুতে দিশেহারা হয়ে পড়েন বিফি রানী।
অন্য কোনো উপায় না পেয়ে স্বামীর জুতা সেলাইয়ের কাজকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়ে ধরেন সংসারের হাল। এখন তার উপার্জিত অর্থে খেয়ে না খেয়ে চলে পরিবারটি। এদিকে অর্থাভাবে বন্ধ হয়ে গেছে একমাত্র ছেলে সুকিন্দ দাসের লেখাপড়াও। সুদিনের আশায় সেলুনে কাজ নিয়েছেন নবম শ্রেণির এই শিক্ষার্থী।
স্বামীর রেখে যাওয়া তিন শতাংশ জমিতে মাটি দিয়ে নির্মিত দুটি ঝুপরি ঘরে তাদের বসবাস। মেয়ে, ছেলে, জামাই ও নাতি নাতনি মিলে তার ১১ সদস্যের পরিবার সবাই মিলে থাকেন সেখানে। মাথা গোঁজার ভালো ঠাঁই না থাকায় বাকী জীবন সুন্দরভাবে কাটাতে সরকারি সহযোগিতা চান জীবন যুদ্ধে হার না মানা নারী বিফি রানী।
বিফি রানী স্বল্প খরচে দক্ষতার সাথে জুতা সেলাইয়ের কাজ করায় খুশি স্থানীরাও। অসহায় এ নারীর পাশে দাঁড়াতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন এলাকাবাসী।
সরকারি ভাতা প্রদানের ব্যবস্থার পাশাপাশি সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন ৫নং চন্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মজিবর রহমান সরকার।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available