কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজারে অসাধু ব্যবসায়ী চক্রেরের গুদামঘর থেকে টিসিবির (ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ) বিপুল পরিমাণ ভোগ্যপণ্য উদ্ধার করেছে র্যাব। ৩০ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাতে শহরের খুরুশকূল রাস্তার মাথার বহুল বিতর্কিত অসাধু চক্রের গুদাম হিসেবে পরিচিত সাগর ট্রেডার্স থেকে এসব পণ্য উদ্ধার করা হয়।
এসময় সাগর ট্রেডার্স-এর সত্ত্বাধিকারী সাগর পালিয়ে গেলেও টিসিবির পণ্য কালোবাজারির মাধ্যমে সংগ্রহ ও বিক্রি, গুদামজাত করার অভিযোগে ম্যানেজার অরুণ কান্তি মিত্র ও মেসার্স ঝর্ণা এন্টারপ্রাইজের মালিক রাইট পালকে আটক করে র্যাব। পরে গুদাম থেকে ৪ হাজার ৭১৬ লিটার তেল, ৪ হাজার ৭১৬ কেজি ডাল ও পাশের আরেকটি ভবনের ফ্ল্যাট থেকে ১৯ কার্টুন তেল উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-১৫-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আবু সালাম চৌধুরী বলেন, সাধারণ মানুষের জন্য ন্যায্যমূল্যে তেল, ডাল, পেয়াজ ও সয়াবিন তেল দিচ্ছে সরকার। কিন্তু ডিলার আবিদ ও ঝর্ণা ষ্টোর সেই টিসিবির পণ্য কার্ডধারীদের বঞ্চিত করে কালোবাজারে বিক্রির তথ্য পেয়েছিলো র্যাব। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাগর এন্টারপ্রাইজ ও পাশের আরেকটি গুদামে অভিযান পরিচালনা করে এসব পণ্য উদ্ধার করা হয়।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, সংশ্লিষ্ট দফতরের দুর্বলতা যোগসাজশ এবং ডিলারগুলোর বিরুদ্ধে মনিটরিং না থাকায় অসাধু চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে কার্ডধারীদের বঞ্চিত করে কালোবাজার ও খোলাবাজারে বিক্রি করে দিচ্ছে সরকারি টিসিবির পণ্য। এতে কোটি কোটি টাকা অবৈধ মুনাফা লুটছিলেন ডিলাররা।
একটি সূত্রে জানা যায়, সাগর ট্রেডার্স একটি বিতর্কিত প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের মালিক সাগরের বিরুদ্ধে এর আগে সরকারি গুদামের চাল নিয়ে চালবাজির অহরহ অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন সময় সাগরের গুদাম থেকে সরকারি গুদামের চালও জব্দ করা হয়েছে। এবার তার প্রতিষ্ঠানেই মিললো ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) অবৈধ মজুদ এর এসব পণ্য। এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি আশপাশের ব্যবসায়ীদের।
অপরদিকে রাইটন পাল নিজেকে কক্সবাজার পৌরসভার টিসিবির ডিলার দাবি করেন। যদিওবা জেলা প্রশাসনের তালিকা অনুযায়ী তিনি সদর উপজেলার ডিলার। তার গুদাম শহরের হলিডের মোড় এলাকায়। তাই সাগর ট্রেডার্সে তার আওতাধীন টিসিবির পণ্য মজুদ নিয়ে জনমনে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়।
র্যাব আসার পর ঘটনাস্থলে আসেন সদর উপজেলার এসিল্যান্ড আরিফ উল্লাহ নিজামী। তিনি বলেন, নির্দিষ্ট গুদামে না রেখে পণ্যগুলো এখানে কেনো রাখা হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ডিলারের কোনো অনিয়ম পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট খীসা বলেন, পণ্যগুলো বিতরণের জন্য সেখানে মজুদ করা হয় বলে জানান ডিলার। অন্য স্থান থেকে টিসিবির তেল বিক্রির অভিযোগও উঠেছে। সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে। টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম, ছাড় দেওয়া হবে না।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available