রংপুর ব্যুরো: আপনজনদের সাথে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে দেশের বিভিন্ন স্থান হতে আগত কর্মজীবী মানুষ। দেশের অন্যান্য স্থানের মতো রংপুর থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ফিরছেন কর্মজীবীরা।
রংপুর বিভাগের প্রবেশদ্বার ও বাহির মুখ মর্ডান মোড়ে দেখা গেছে কর্মজীবী মানুষের কর্মস্থলে ফিরতে উপচেপড়া ভিড়। উত্তরের জেলা পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নিলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও রংপুরের মানুষ মর্ডান মোড় হয়েই তাদের কর্মস্থলে ফিরছেন। রংপুরসহ বাহিরের জেলা হতে এসে অনেকেই কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য মর্ডান মোড়ে জমায়েত হচ্ছেন বাসের জন্য। প্রচুর পরিমাণে গাড়ি থাকার পরেও ফিরতি যাত্রায় বাসের বাড়তি ভাড়া নেয়ার অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।
সরেজমিনে মডার্ন মোড়ে দেখা গেছে, যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়, সকাল হতে রাত অবদি বাসের জন্য দাড়িয়ে আছেন তারা। বাসে উঠতে পারলেই শান্তির নিশ্বাস ফেলছেন কেউ কেউ, আবার যারা বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের মাঝে দেখা যাচ্ছে শঙ্কা।
কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা অভিযোগ করে বলেন, রংপুর থেকে ঢাকার ভাড়া বাস ভেদে ৭-৮ শত টাকা হলেও ঈদ উপলক্ষে নেয়া হচ্ছে ১ হাজার হতে ১৫শ’ টাকা পর্যন্ত। এতে বিপাকে পরতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। কেননা তারা ঈদে খরচ করেছেন অল্প কিছু রেখেছেন মাস চালার জন্য। এখন বাস ভাড়া এতো দিলে মাস চলবেন কীভাবে, এ নিয়ে প্রশ্ন জাগছে অনেকের মধ্যে।
এদিকে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ঈদে যাত্রীদের সুবিধার্থে মর্ডান মোড়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ও র্যাবের যৌথ কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। কন্ট্রোল রুম হতে যাত্রীদের সেবা নিশ্চিতসহ জ্যামমুক্ত যানবাহন পরিচালনায় সহযোগিতা করছেন পুলিশ।
কন্ট্রোলরুমে অবস্থানকারী পুলিশের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা কথা না বলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলতে বলেন। মোটর শ্রমিক ফেডারেশন রংপুর মর্ডান শাখার সভাপতি হাবিব বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মোটর মালিক সমিতির সহযোগিতায় যাত্রীদের সেবা সুন্দরভাবে দেয়া হচ্ছে। আগামী শনি-রবিবার পর্যন্ত যাত্রীদের চাপ থাকবে।
ভাড়া বেশি নেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভাড়া আমরা বেশি নিচ্ছি না, গতকাল বহিরাগত কিছু লোক ভাড়া বেশি নিয়েছিলো তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অপরদিকে নগরীর কামারপাড়াস্থ ঢাকা বাস কাউন্টারের সামনে গিয়ে দেখা যায় সেখানেও যাত্রীর কমতি নেই। যারা টিকিট পেয়েছেন তাদের মাঝে দেখা যাচ্ছে আনন্দ। আর যারা পাননি তাদের মাঝে রয়েছে শঙ্কা।
কয়েকজন যাত্রীর সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা অনেক চেষ্টা করে ডাবল দামেও টিকিট পাচ্ছে না। কাউন্টার হতে দেখানো হচ্ছে অনলাইনের অজুহাত। টিকিট সব কতিপয় লোকের হাতে জিম্মি। এমন অবস্থায় যাত্রীরা কি করবেন কিছুই বুঝতে পারছে না?
এ ব্যাপারে হানিফ, নাবিল, এসআর কাউন্টারে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, টিকিট সীমিত, যাত্রী অনেক বেশি। যা আমাদের কেফাসিটির বাহিরে। আমরা কীভাবে বেশি টিকিট দিবো।
সহকারী পুলিশ কমিশনার আল ইমরান বলেন, কালো বাজারিদের ক্ষেত্রে আমাদের জিরো টলারেন্স। আমরা কোন অভিযোগ পেলে যাচাই বাছাই করে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available