ডিআইইউ প্রতিনিধি: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি তামাক কোম্পানিকে কোনো প্রকার সহযোগিতা না করার নীতি গ্রহণ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে অধ্যায়নরত ১২ হাজার শিক্ষার্থীর পাশাপাশি সার্বিক জনস্বাস্থ্য রক্ষায় এফসিটিসি-৫.৩ আর্টিকেলকে সমর্থন জানিয়ে ‘কোড অব কনডাক্ট’ স্বাক্ষর করে।
১০ ফেব্রুয়ারি শনিবার বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট, টোব্যাকো কন্ট্রোল এন্ড রিসার্চ সেল (টিসিআরসি), ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট’র সম্মিলিত আয়োজনে একটি কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি উপাচার্য প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান এবং টিসিআরসির প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। টিসিআরসির প্রজেক্ট ম্যানেজার ফারহানা জামান লিজার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট’র সিনিয়র প্রকল্প কর্মকর্তা সামিউল হাসান সজীব। প্রবন্ধ উপস্থাপনায় তিনি তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতি প্রণয়নে কোম্পানিগুলোর হস্তক্ষেপ চিহ্নিত করে এর থেকে উত্তরণে কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে সে বিষয়ে আলোকপাত করেন।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. গণেশ চন্দ্র সাহা, ভাইটাল স্ট্র্যাটিজিস’র সিনিয়র টেকনিক্যাল এডভাইসার সৈয়দ মাহবুবুল আলম এবং ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট’র হেড অব প্রোগ্রাম সৈয়দা অনন্যা রহমান। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মিলি সুলতানা এবং অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার ড. শাহ আলম চৌধুরী।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শতাধিক শিক্ষার্থী, টিসিআরসির কর্মকর্তাগণসহ এবং তামাক নিয়ন্ত্রণে কর্মরত বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ড.সাইফুল ইসলাম তামাক কোম্পানির মুখোশ উন্মোচনের উদ্দেশ্য নিয়ে আয়োজিত আজকের অনুষ্ঠানের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রতিষ্ঠানকে কোড অব কন্ডাক্ট গ্রহণের আহবান জানান। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তিনি যথাসম্ভব সহযোগিতা প্রদানেরও আশ্বাস প্রদান করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি মানুষকে হত্যার মূল কারিগর তামাক কোম্পানি। সকল প্রকার নেশার মূল কারণ তামাক এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হলে এইসকল নেশাও অতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। তামাক কোম্পানি অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে বাধা সৃষ্টি করছে। পাশাপাশি তরুণদের চাকরির লোভ দেখিয়ে পরোক্ষভাবে নিজেদের পণ্যের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
পরিশেষে বক্তারা বলেন, তামাকের বিরুদ্ধে ইউনিভার্সিটির এই উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে নো-স্মোকিং সাইনেজ স্থাপন এবং ১০০ মিটারের মধ্যে তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়কেন্দ্রগুলো অপসারণের দাবি জানান।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available