ডিআইইউ প্রতিনিধি: ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে মাইক্রোবায়োলজি কোর্স চালু করা হয়েছে। মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের উপদেষ্টা হিসেবে খ্যাতিমান অধ্যাপক, অভিজ্ঞ এবং মেধাবী শিক্ষকমণ্ডলী, অত্যাধুনিক গবেষণাগার এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি সুসজ্জিত চারটি আধুনিক মাইক্রোবায়োলজি ল্যাবরেটরি রয়েছে।
ল্যাবগুলো হলো, জেনারেল মাইক্রোবায়োলজি ল্যাব, অ্যাডভাসমলিকুলার ল্যাব, ফার্মাসিটিক্যাল মাইক্রোবায়োলজি ল্যাবও ক্লিনিক্যাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক মাইক্রোবায়োলজি ল্যাব। এছাড়াও আধুনিক ও সুসজ্জিত ডিজিটালাইজড শ্রেণিকক্ষ, হালনাগাদ পাঠ্যপুস্তক এবং রেফারেন্সবই সমৃদ্ধ লাইব্রেরি এবং সেমিনার নিয়ে এই নতুন বিভাগটি চালু করা হয়েছে।
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান শিশির বলেন, মাইক্রোবায়োলজি মানব জীবনের জন্য আশীর্বাদ হয়ে দেখা দিয়েছে। কেননা, একটি ক্ষুদ্র অনুজীব কতটুকু শক্তি রাখে, তা সাধারণভাবে অনুমান করা সম্ভব নয়। তা নির্ণয় করা সম্ভব মাইক্রোবায়োলজি মাধ্যমে।
ড. মো. আসাদুজ্জামান শিশির জানান, মাইক্রোবায়ালজি অধ্যায়নের মাধ্যমে যে সব ক্ষেত্রে কর্ম ও গবেষণার সুযোগ রয়েছে এগুলো হচ্ছে- একাডেমিয়ায়, হাসপাতালে, ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে, বায়োমেডিকেল সেক্টরে, গবেষণা সংস্থায়, ফার্মাসিউটিক্যাল এবং খাদ্য শিল্প কারখানায়, বায়োটেক শিল্প কারখানায়, কৃষি খাতে, জৈবশক্তি উৎপাদনে, বর্জ ব্যবস্থাপনা খাতে, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থায়, সরকারি এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থায়। দেখা যাচ্ছে, মানুষের জীবনের প্রতিটি স্তরে মাইক্রোবায়ালজির অর্জিত শিক্ষা ও জ্ঞান অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। আবার আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে এর গুরুত্ব অনেক বেড়ে গেছে। এ সব বিষয় বিবেচনায় রেখে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে মাইক্রোবায়ালজি বিভাগ যাত্রা শুরু করেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের খ্যাতিমান অধ্যাপক ড.এ.বি.এম মফিজুল ইসলাম পাটোয়ারী ১৯৯৫ সালে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে ইউনিভার্সিটির ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ১২ হাজার। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী এখানে অধ্যয়ন করছে। এখানে শিক্ষকের সংখ্যা প্রায় ৩শ'। ইউনিভাসিটিতে রয়েছে অত্যাধুনিক মানসম্পন্ন প্রায় ৩১টি ল্যাবরেটরি।
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. গনেশ চন্দ্র সাহা বলেন, উন্নত সিলেবাসের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষকেরা আন্তরিকতার সঙ্গে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। ফলে শিক্ষার্থীরা সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হচ্ছে।
আর এখানকার সকল পাঠ্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামের মাধ্যমে। এর আগে ড. সাইফুল ইসলাম বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর ভাইস চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বলেন, দক্ষ মাইক্রোবায়োলজিস্টদের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চাহিদা মেটাতে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে মাইক্রোবায়োলজি কোর্স চালু করা হয়েছে।
ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, নব প্রতিষ্ঠিত মাইক্রোবায়োলজি বিভাগটি আমাদের প্রায় ২৯ বছরের অভিজ্ঞতার নিরিখে আমরা গড়ে তুলেছি। শিক্ষার্থীরা এর সুফল ভোগ করতে পারবে।
বোর্ড অব ট্রাস্টির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. মুহাম্মদ শহীদুল কাদির পাটোয়ারী বলেন, এ ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. এ.বি.এম. মফিজুল ইসলাম পাটোয়ারী মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে মেয়েদের উচ্চশিক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠা করেন। তাই অন্যান্য ইউনিভার্সিটির চেয়ে এখানে টিউশন ফি কম। মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের টিউশন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। এখানে সু-সজ্জিত ও সমৃদ্ধ লাইব্রেরি রয়েছে। রয়েছে দেশি- বিদেশি পর্যাপ্ত বই ও জার্নাল। লাইব্রেরিতে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে পারে। ইউনিভার্সিটিতে রয়েছে অত্যাধুনিক মানসম্পন্ন প্রায় ৩১টি ল্যাবরেটরি।
স্থায়ী ক্যাম্পাসের সন্নিকটে রয়েছে ৯টি হোস্টেল। ছেলেদের জন্য রয়েছে ৭টি এবং মেয়েদের জন্য রয়েছে ২টি হোস্টেল। ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্সকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বেসিক ইংলিশ, ফাংশনাল ইংলিশ, প্রিলিমিনারি ইংলিশ ও অ্যাডভান্সড ইংলিশ কোর্স ও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কমকর্তা ও কর্মচারীদের ক্যাম্পাসে আসা যাওয়ার জন্য পরিবহন সুবিধা রয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available