রংপুর ব্যুরো: উজানের পাহাড়ি ঢলে কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২৩৮.৪ মিলিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা কবলিত তিস্তা পাড়ের ১ লক্ষ বাসিন্দা রয়েছে আতঙ্কে।
লাগাতার বৃষ্টিতে রংপুর অঞ্চলের নদনদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। আবার কোথাও কোথাও দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। রংপুর নগরীর বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। সরু ড্রেনের কারেণে পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে না, ফলে বিপাকে পড়েছে মানুষ। সড়কে যানবাহনের চলাচল কিছুটা কমেছে। দোকানপাট, শপিংমল, মার্কেটসহ ফুতপাতের ব্যবসায়ীদের দোকান বন্ধ থাকায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ।
২৪ সেপ্টেম্বর রোববার বিকেল ৩টায় ডালিয়া পয়েন্টে ৩৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। শনিবার একই পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।
রোববার বিকেল ৩টায় রংপুর বিভাগে আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান জানান, রংপুর ২৩৮.৪ মিলিমিটার, দিনাজপুর ৩৫০.৪ মিলিমিটার, সৈয়দপুর ৪২৪ মিলিমিটার, নীলফামারী (ডিমলা) ১৯৩.১ মিলিমিটার, কুড়িগ্রাম ৫৯মিলিমিটার, পঞ্চগড় ১৫২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আরো কয়েক দিন বৃষ্টিপাত থাকতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর সর্তকতা অবলম্বন করতে বলেছেন।
তিস্তা পাড়ের মনোয়ারা বেগম বলেন, বছরে ২ বার আমাদের বন্যায় তলিয়ে যেতে হয়। বসতবাড়ি ভেঙ্গে মানুষের জায়গায় আশ্রয় নিতে হয়, আমাদের মতো হাজার হাজার মানুষের জমিসহ বসতবাড়ি বিলীন হয়েছে নদীর বুকে। সরকার যদি তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতো আমাদের আর কষ্ট পোহাতে হতো না।
টানা ভারী বৃষ্টি হওয়ার কারণে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যার পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ‘তিস্তা বাাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদে’র উপদেষ্টা মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। উজানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র নদ-নদীর পানি বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
বিভিন্ন নদ-নদীতে পানি বাড়তে শুরু হলেও এখন পর্যন্ত বন্যার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available