রংপুর ব্যুরো: রংপুর জেলার কাউনিয়ায় তিস্তা নদীর অব্যাহত ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে নদী তীরবর্তী গদাই ও পাঞ্জরভাঙ্গা গ্রামের মানুষের। ইতোমধ্যে তিস্তা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে বালাপাড়া ইউনিয়নের গদাই পাঞ্জরভাঙ্গা গ্রামের বেশকিছু বসতভিটা ও ১শ’ হেক্টর ফসলি জমি সাথে গাছপালা।
ওই এলাকায় গেলে স্থানীয়রা জানান, কাউনিয়া উপজেলার গদাই, পাঞ্চরভাঙ্গা, আরাজী হরিশ্বর, চর হয়বৎ খাঁসহ নদী তীরবর্তী গ্রামের হাজার হাজার পরিবার নদী ভাঙনের হুমকির মুখে রয়েছে। গত দুই সপ্তাহে তিস্তা নদীর করাল গ্রাসে পাঞ্জর ভাঙ্গা গ্রামের কয়েকটি বসতভিটা ও কয়েকশ বিঘা ফসলি জমি, বাঁশঝাড়, গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
তিস্তা নদী ভাঙনে ভুক্তভোগী অসহায় এলাকাবাসীর দাবি, ত্রাণ নয় নদী ভাঙন থেকে তাদের বাপ-দাদার রেখে যাওয়া শেষ সম্বল বাড়ি-ভিটা রক্ষা করা। তাদের অভিযোগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করে কোনো ফল পাচ্ছেন না তারা।
এ ব্যাপারে কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহিদুল হক বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে ভাঙন রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। ভাঙনের খবর পেয়ে গত বুধবার নদী এলাকা পরিদর্শনে আসেন পানি উন্নয়ন বোর্ড রংপুরের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আহসান হাবীবসহ কর্মকর্তাবৃন্দ।
তিস্তা নদীর ভাঙন পরিদর্শন শেষে পানি উন্নয়ন বোর্ড রংপুরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আহসান হাবীব বলেন, ১শ’ ৯০ মিটার পাড় টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ চলমান। সেখানকার জায়গা ভালো আছে। বাকি জায়গায় ভাঙন রোধের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জিও ব্যাগ বরাদ্দ এনে ভাঙনের গতিপথ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available