ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে পারিবারিক কলহের জেরে দুই নারীকে মারপিটে হাড় ভাঙ্গা, জখমসহ শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। ২৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার এ ঘটনায় আ. সামাদ নামের একজন বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় একটি এজাহার দাখিল করেছেন।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চেচুড়িয়া গ্রামের আ. সামাদের সাথে এজাহারে বর্ণিত আসামি একই গ্রামের বাসিন্দা ইকবাল হোসেন মন্ডল ও আতোয়ার রহমান এবং তার ছেলে রায়হান কবির, হুমায়ুন কবির, আ. হাদী ও রুমন মন্ডলের সাথে পারিবারিক ভাবে বিবাদ চলে আসছিল।
এমতাবস্থায় আসামির পক্ষের একটি ছাগল বাদীর বাড়িতে এসে বিভিন্ন গাছ-গাছালী নষ্ট করিতে থাকে। এতে বাদীর মেয়ে সেলিনা বেগম বাধা নিষেধ করে ছাগল বেঁধে রাখতে বললে আসামিরা তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।
এরই সূত্র ধরে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২ টার দিকে বাদী পক্ষের লোকজন বাড়িতে না থাকায় আসামিরা পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে লোহার রড, লাঠি-সোডা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে অনুপ্রবেশ করে গালিগালাজ ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে। এতে সেলিনা বেগম গালিগালাজ করিতে নিষেধ করিলে আসামি আতোয়ার রহমানের হুকুমে ইকবাল হোসেনসহ অন্যান্য আসামিরা তাকে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট করে এবং বিবস্ত্রপূর্বক শ্লীলতাহানি ঘটায়।
এ সময় তার আত্বচিৎকারে বাদীর পুত্রবধু মুন্নি বেওয়া এগিয়ে আসলে আসামিরা তাকেও এলোপাতাড়িভাবে মারপিট করে এবং জখম করে বিবস্ত্রপূর্বক শ্লীলতাহানি ঘটায়। এ সুযোগে সেলিনা বেগম পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে লাঠি ও লোহার রড দ্বারা পিটিয়ে হাড় ভাঙ্গা, জখম করে।
এ সময় তাদের আত্বচিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলেও আসামিদের অস্ত্রের ভয়ে কিছু বলার সাহস না পেলে আসামিরা স্বর্ণের চেইন ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনার পর লোকজন আহতদের উদ্ধার করে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে মামলার বাদী লোকমুখে বিস্তারিত জেনেশুনে ও চিকিৎসার ব্যবস্থা শেষে ঘোড়াঘাট থানায় একটি এজাহার দাখিল করেন।
এ ব্যাপারে ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। এতে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available