পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর গলাচিপার চরবিশ্বাস ইউনিয়নের উত্তর চরবিশ্বাস গ্রামে দীর্ঘ দিন যাবৎ নিজ ভোগ দখলীয় রেকর্ডীয় জমিতে ঘর তুলতে গেলে ভূমি দস্যু কতৃক মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানির শিকারের অভিযোগ উঠেছে।
চরবিশ্বাস ইউনিয়ন ভূমি অফিস তথ্য সূত্রে জানা যায়, ৬০১১ দাগে দিয়ারা (বি. এস) ২৯৪ খতিয়ানের ৫ শতাংশ জমি উত্তর চরবিশ্বাস গ্রামে বাড়ি, পুকুর ও ভিটা ঐ এলাকার বারেক গাজীর ছেলে হেলাল উদ্দিন গাজীর নামে রেকর্ড হয়। যা পরবর্তীতে ৮ মে ২০২২ সালে চরবিশ্বাস ইউনিয়ন ভূমি অফিসে দাখিলার মাধ্যমে ১ হাজার ১ শত ৩৮ টাকা ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করা হয়।
জমিতে হেলাল উদ্দিন গাজী ঘর তুলতে গেলে মৃত আ. করিম গাজীর ছেলে হাকিম গাজী, হামিদ গাজী, মৃত ছত্তার গাজীর ছেলে আনোয়ার ও মৃত মোতালেব গাজীর ছেলে সাহাবুদ্দিন এবং ফোরকান বাঁধা প্রদান করে। পরে তারা গলাচিপা সহকারী জজ আদালত, পটুয়াখালীতে তাদের জমির সম্মুখভাগ দাবি করে একটি মামলা দায়ের করে।
এ বিষয়ে হেলাল উদ্দিন গাজী জানান, দীর্ঘ দিন যাবৎ আমার ভোগ দখলীয় রেকর্ডীয় জমির আশেপাশে তাদের কোন শরিকী জমি নেই অথচ জমির সম্মুখভাগ দাবি করে আদালতে একটি মিথ্যে মামলা দায়ের করেছেন। যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমার ৫ শতক রেকর্ডীয় জমিতে কোন প্রকার গাছ নেই। সমস্ত এলাকা খোলা জায়গা সেখানে কারও দখলদারিত্ব নেই। তাই আদালতের মাধ্যমে আইনিভাবে আমার রেকর্ডীয় জমির ব্যাপারে সুবিচারের আহবান জানাই।
উল্লেখ্য, সেই ৫ শতক জমি থেকে হেলাল উদ্দিন গাজী মো. ইদ্রিস হাওলাদারের ছেলে মেহেদী হাসান ও চান মিয়া গাজীর ছেলে হিরন গাজীর নিকট ২ শতক জমি রেজিস্ট্রি অফিসের মাধ্যমে দলিল করে বিক্রি করে দেয়। যার দলিল নম্বর ৮১০/২০২৩।
এই বিষয়ে ক্রয় করা জমির মালিক মেহেদী হাসান ও হিরন গাজী জানান, হেলাল গাজীর কাছ থেকে আমরা ২ শতক জমি ক্রয় করি। ২০২৩ সালের ভূমি আইন অনুযায়ী দলিল যার জমি তার। এই আইনে আমরা আমাদের জমির দখল পাইতে পারি তার জন্য আদালতের সু-দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available