নিজস্ব প্রতিবেদক: গাজীপুর-২ আসনের সাবেক যুব ও ক্রিয়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের চাচার অবৈধ দখলে থাকা শত কোটি টাকা মূল্যের টঙ্গীর ক্যাপরি সিনেমা হলের জমি ২০ বছর পর দখলমুক্ত হয়েছে।
জবরদখলে নিয়ে ওই সিনেমা হলকে মাদকের আখড়ায় পরিণত করা হয়েছিল। এলাকাটি এখন মাদকমুক্ত হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যেও স্বস্তি ফিরে এসেছে।
স্থানীয়রা জানান, বিগত ২০০৪ সালে আহসান উল্লাহ মাস্টার টঙ্গীর নোয়াগাঁও স্কুল মাঠে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন। শুধুমাত্র প্রতিহিংসাবশত রাজনৈতিক তৎকালীন যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা নূরুল ইসলাম সরকারকে হুকুমের আসামি করা হয়। নূরুল ইসলাম আদালতে জামিনের প্রার্থনা করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এরপর টঙ্গী নতুনবাজার এলাকায় নূরল ইসলামের মালিকানাধীন ক্যাপরি সিনেমা হলসহ প্রায় শত কোটি টাকার জমি জবরদখল করেন মামলার বাদি আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছোট ভাই মতিউর রহমান মতি। পরবর্তীতে হলের খালি জায়গায় অস্থায়ী ঘর উঠিয়ে মাসে লাখ লাখ টাকার ভাড়া উঠাতেন মতিউর রহমান মতি। হলের পাশেই বস্তি ও থানা আওয়ামী লীগ কার্যালয় অবস্থিত। গত ৫ আগস্ট বিক্ষুব্ধ জনতা আওয়ামী লীগের অফিস অগ্নিসংযোগ করে জ্বালিয়ে দেয়। পরের দিনই বিলুপ্ত ক্যাপরি সিনেমা হলের প্রায় আড়াই বিঘা জমি অবৈধ দখলমুক্ত হয়।
নূরুল ইসলামের ছেলে সরকার শাহনুর ইসলাম রনি বলেন, আমরা হলের জমি মেপে বুঝে নিয়েছি এবং চারপাশে সীমানা বেষ্টনী দিচ্ছি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এবং আমাদের সম্পত্তি আত্মসাতের জন্যই আমার নিরপরাধ বাবাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে।
বস্তি উচ্ছেদ প্রসঙ্গে রনি বলেন, বস্তি দখল বা উচ্ছেদের প্রশ্নই উঠে না। তবে আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান আমাদের সীমানার ভেতর কিছু ঘর উঠিয়ে ভাড়া দিয়েছিলেন। ভাড়াটিয়ারা ঘরসহ স্বেচ্ছায় চলে যেতে সম্মত হয়েছেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available