মাটিরাঙ্গা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি: পার্বত্য খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার গোমতি ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে গড়গড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হয়ে বেলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত যাতায়াতের সড়কটি ব্রিক সলিং থেকে পাকা রাস্তায় উন্নীত করা হলেও সড়কটিতে স্বাভাবিক যানবাহন চলাচল নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
গড়গড়িয়া এলাকার মো. জাকির হোসেন মাস্টারের বাড়ির পার্শ্বে গোমতি নদীতে সৃষ্ট প্রবল স্রোতের ধাক্কায় ভেঙ্গে যাচ্ছে সড়কটি। অন্যান্য বছর অল্প অল্প ভাঙ্গলেও এবার সড়কটির বিশাল অংশ ভেঙ্গে নদী গর্ভে তলিয়ে গেছে।
এছাড়া কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে গোমতি ইবতেদায়ী মাদ্রাসা মসজিদের নির্মিত সাইড দেয়াল, টিউবওয়েলসহ বেশকিছু অংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। মাটিরাঙ্গা গোমতি সংযোগ সড়কের বেশ কিছু যায়গায় পাহাড় ধসে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের মতো ঘটনাও ঘটেছে।
এ বিষয়ে গোমতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কাজী রমজান বলেন, গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে রাস্তাটির বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। স্থানীয়রা পাশের কৃষি জমির উপর দিয়ে আপাতত চলাচল করার জন্য রাস্তা তৈরি করেছে। কিন্তু তাতেও স্বাভাবিকভাবে চলাচল করা যাচ্ছে না। অনেক সময় মোটরসাইকেল নদীতে পড়ে যায়।
এ বিষয়ে পল্লী চিকিৎসক আমির হোসেন বলেন, বর্ষাকালে এতটা ভয়ংকর হয়ে উঠে যে রাস্তা দিয়ে চলাচল করা অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে যায়। কোনো মুমূর্ষু রোগী নিয়ে এই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার কোনো অবস্থা নেই।
স্থানীয় এক অটোরিকশা চালক বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ এ রাস্তাটি ভাঙ্গা রয়েছে। বর্ষাকালে রাস্তাটি একটু একটু করে ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে একপর্যায়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে স্থানীয় অটোরিকশা চালকদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে আপাতত চলাচলের জন্য প্রস্তুত করেছি।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক আলীম বলেন, পাঁচ বছর ধরে এ রাস্তা নিয়ে ভুগছে এলাকাবাসী। গোমতি ইউনিয়ন পরিষদ ও বেলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদে যাওয়ার জন্য রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। গত কয়েকদিন প্রবল বর্ষণের কারণে এই রাস্তাটি ভেঙ্গে গিয়ে চলাচলে খুব অসুবিধা হচ্ছে। অনেক সময় মোটরসাইকেল সহ লোকজন নদীতে পড়ে গেছে। আমাদের দাবি, রাস্তাটি যেন দ্রুত সংস্কার মাধ্যমে স্বাভাবিক করা হয়।
এ বিষয়ে গোমতি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. তফাজ্জল হোসেন জানান, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা। গোমতি ইউনিয়ন ও বেলছড়ি ইউনিয়নের সংযোগ রাস্তা এটি। এই যায়গাটি ভাঙ্গন রোধে বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। রাস্তাটি ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও এলজিইডির প্রকৌশলীর সাথে আলাপ করেছি। খুব শীঘ্রই রাস্তার ভাঙ্গনরোধের কাজ করতে পারবো বলে আমি আশ্বস্ত হয়েছি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available