সাঘাটা (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার আব্দুল্লার পাড়া গ্রামে ১৫০ দরিদ্র নারী দর্জির কাজ করে হয়েছেন স্বাবলম্বী, পাল্টে গেছে তাদের সংসারের চিত্র।
সাঘাটা উপজেলার জুমারবাড়ি ইউনিয়নের আব্দুল্লার পাড়া গ্রামের দরিদ্র তাহমিনা বেগম কাজ করতেন ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায়। ২০১৯ সালে করোনা মহামারীতে কারখানা বন্ধ হয়ে গেলে তাহমিনার মতো অনেক নারী ফিরে আসেন গ্রামে। এমতাবস্থায় কূলকিনারা না পেয়ে তাহমিনার মতো আরও কয়েকজন নারী মিলে সাঘাটা উপজেলা পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সমন্বিত পল্লী দারিদ্র্য দূরীকরণ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নেন। প্রকল্পে পাওয়া টাকা ও সেলাই মেশিন নিয়ে ১৫০ জন দরিদ্র মহিলা আব্দুল্লার পাড়া গ্রামে গড়ে তোলেন দর্জিপল্লী নামের পোশাক কারখানা।
কাজের মান ভালো হওয়ায় এ পল্লীর খবর পৌঁছে যায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। আসতে থাকে শার্ট, পাঞ্জাবি, থ্রি-পিসসহ নানা ধরনের পোশাকের অর্ডার। একসাথে কাজ করে সংসারের চেহারা পাল্টে গেছে এসব নারীর, সংসারে এসেছে স্বাচ্ছন্দ, নেই অভাব অনটন, প্রতিমাসে ইনকাম করছেন ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা। তাদের দেখে উৎসাহী হয়ে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রকল্পের মাধ্যমে উপজেলায় প্রায় ১ হাজার নারী-পুরুষ সেলাই, এমব্রয়ডারি, প্রাণিসম্পদ ও ব্লকবাটিকে প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বাবলম্বী হয়েছেন।
উদ্যোক্তা মো. রুনু মিয়া বলেন, ঢাকা, বগুড়া, রংপুরসহ বিভিন্ন স্থান থেকে কাজের অর্ডার নিয়ে সরবরাহ করে থাকি। এভাবে আমিও সফলতা পেয়েছি।
উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার মো. সামিউল ইসলাম বলেন, বিআরডিবি গাইবান্ধা সমন্বিত পল্লী দারিদ্র্য দূরীকরণ প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১০টি ব্যাচে ২০০ জনকে সেলাই, এমব্রয়ডারি, প্রাণী সম্পদ ও ব্লক বাটিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইসাহাক আলী বলেন, আব্দুল্লার পাড়ায় দর্জি ভিলেজে কাজ করে ১৫০ নারী আজ স্বাবলম্বী হয়েছেন। বর্তমানে গাইবান্ধা সমন্বিত পল্লী দারিদ্র্য দূরীকরণ প্রকল্পটি বন্ধ রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি, যাতে এ প্রকল্প আবার চালু হয়। এ প্রকল্প চালু হলে আরও অনেকের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available