বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাট সদর উপজেলার তামিম রেফ্রিজারেটর অ্যান্ড সার্ভিসিং সেন্টারের স্বত্বাধিকারী মো. আসাদুলের বিপক্ষে মাসিক বেতন চাওয়ায় চোর আখ্যা দিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় শ্রমিক নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
৩ জুন সোমবার বেলা ১১টায় উপজেলার গোটাপাড়া ইউনিয়নের দেপাড়া বাজারের ওই দোকানের শ্রমিক মহিবুল্লাহ শেখ (২০) কে পারন ওয়াপাড়া এলাকা থেকে তুলে নিয়ে কান্দাপাড়া বাজারস্থ আনিচের চায়ের দোকানে আটকে রেখে পাশবিক নির্যাতন করা হয়।
এ বিষয়ে দেপাড়া বাজারে স্থানীয়দের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। উত্তেজিত জনতা তাৎক্ষণিক তামিম রেফ্রিজারেটর অ্যান্ড সার্ভিসিং সেন্টার তালাবদ্ধ করেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পিতা বাগেরহাট মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মহিবুল্লার পিতা মো. ইয়াহিয়া জানান, আমার ছেলে আসাদুলার নিকট মাসিক বেতনের ১২ হাজার টাকা পায়। পাওনা টাকা চাইলে সে টাকা না দিয়ে আসাদুলর সঙ্গে বাকবিতণ্ডা করে। এক পর্যায়ে আসাদুল আমার ছেলেকে চোর অপবাদ দিয়ে দোকান থেকে বের করে দেয়।
পরবর্তীতে ছেলে দেপাড়া বাজার কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে জানালে, কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুম মোল্লা, বেলায়েত হোসেন ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ইমাম হাসান জেলাল ও বাদশা হালদারসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করেন।
সে পরবর্তীতে একটি মোবাইল নম্বর থেকে বেলা ১০টায় পারনওয়াপাড়া তরফদার বাড়ির সামনে কাজ আছে বলে ডেকে পাঠায়। সরল মনা মহিবুল্লাহ কাজের উদ্দেশ্যে পারনওয়াপাড়া এলাকায় পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা আসাদুল (২৫), রিয়াদ তালুকদার (২৪), তরিকুল (৩০), রানা (২৮), ফরহাদসহ (২৪) অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন দুর্বৃত্ত আমার ছেলের উপর আক্রমণ চালায়।
এ সময় হামলাকারীরা জি.আই পাইপ, হাতুড়ি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। তাকে জাপটে ধরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে খেজুরের কাটা ফুটায়। তাদের হামলা ও আক্রমণের স্বীকার হয়ে আমার ছেলে গুরুতর আহত হয়ে পড়ে।
এরপর আবার তাকে ওই এলাকা থেকে তুলে নিয়ে কান্দাপাড়া বাজারের আনিচের চায়ের দোকানের ভিতর আটকে রেখে পাশবিক নির্যাতন করতে থাকে। খবর পেয়ে তার পিতা ইয়াহিয়া, ব্যবসায়ী মীর মনিরুজ্জামানের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট রিজিয়া নাসের হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে দেপাড়া বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুম মোল্লা বলেন, এর আগেরও সন্ত্রাসী আসাদুল এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। বাপ মুক্তিযোদ্ধা আর ভাই পুলিশ সদস্য বলে বারবার অন্যায় করার পরেও রেহাই পেয়ে যায়। আমি এই ঘৃণ্য অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
সভাপতি খান সোহরাব হোসেন বলেন, আসাদুল একটা বেয়াদব। ইতোপূর্বেও সে এরকম মারপিটের ঘটনা কয়েকবার ঘটিয়েছে। যা বাজারের শান্তি-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available