রামু (কক্সবাজার) প্রতিনিধি: বিবদমান জমিতে আদালত স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিলেও তা অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ চালানোর অভিযোগ উঠেছে দ্বীপক শর্মা গংয়ের বিরুদ্ধে। এতে আরেক পক্ষের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে।
এর প্রতিকার চেয়ে জমির ওয়ারিশি সূত্রে মালিকানা দাবিদার স্বদীপ শর্মা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তার অভিযোগ, প্রতিপক্ষের লোকজন প্রভাবশালী ভাড়াটে লোকজনের সহায়তায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, কক্সবাজার রামু উপজেলার রাজারকুল ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ডেয়াং পাড়া মসজিদে পাশে রাজারকুল মৌজার আর,এস, ৬৪৯ নম্বর খতিয়ানের আর.এস. ২৫৫৫, ২৫৫৬ দাগাদির আন্দর মোতাবেক বি.এস, ১৫৭৮/৩ নম্বর খতিয়ানের বি.এস, ৫৬৩৯, ৫৬৪০ দাগাদির ০.২৬ একর জমির ক্রয়সূত্রে মালিক রমনী মহন শর্মা গংদের ওয়ারিশ ক্ষিরোদ শর্মার ছেলে স্বদীপ শর্মা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। এ নিয়ে ২০২২ সালে জেলা সহকারী জজ আদালতে দ্বীপক শর্মা গংদের বিরুদ্ধে মামলা করেন স্বদীপ শর্মা (মামলা নম্বর-৫০/২০২২)।
এদিকে মিদুল শর্মা ও বিউটি শর্মার কাছ থেকে বিবদমান জমি কিনে সেখানে স্থাপনা নির্মাণ শুরু করেন একই এলাকার দুলাল (ভোলা) শর্মার ছেলে দ্বীপক শর্মা গংরা। এতে বাদী পক্ষের সঙ্গে তার বিরোধ দেখা দেয়।
বাদী পক্ষ গত ২১ মে ওই জমিতে স্থাপনা নির্মাণ এবং ভূমির আকার পরিবর্তনের বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন। আদালত ওই জমিতে উভয়পক্ষের ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু নির্দেশনা মানছেন না বিবাদী পক্ষ। বিবাদী পক্ষের দ্বীপক শর্মা গংরা গত ৫ মে ওই জমিতে বাড়ির কাজ শুরু করেন। এতে বাদী পক্ষ বাধা দিলে বিবাদী পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়। এছাড়া বিবাদীরা স্থানীয় প্রভাবশালী লোকজনকে ভাড়া করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে গত ২৬ মে ভুক্তভোগী স্বদীপ শর্মা বাদী হয়ে দীপক শর্মা, সজল শর্মা ও বিপ্লব শর্মা গংকে বিবাদী করে রামু থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
বাদী স্বদীপ শর্মা বলেন, জমির মালিকানা বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আদালত উভয়পক্ষকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু বিবাদীরা আদালতের নির্দেশনা মানছেন না।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সজল শর্মা ক্রয় সূত্রে জমিটির মালিকানা দাবি করে বলেন, ‘আমাদের জমিতে আমরা বাড়ি বানাচ্ছি। আমাদের মালিকানার কাগজপত্র আছে। কিন্তু বাদী পক্ষ অহেতুক আমাদের হয়রানি করছে।’
আদালতের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আমাদের কাজ বন্ধ রাখা যায় না। এর আগেও ১৪৪ ধারা ছিল, সেটিও খারিজ হয়ে গেছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রামু থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অসীম ধর বলেন, ‘অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিবাদীদের নোটিশ প্রদান করেছি এবং কাজ বন্ধ রাখতে বলি। বর্তমানে আমি ছুটিতে আছি, কাজ বন্ধ না রাখলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবু তাহের দেওয়ান বলেন, ‘আদালতের আদেশ অনুযায়ী উভয় পক্ষকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিবাদীরা আমাদের কথা শুনছেন না। তারা কাজ চলমান রেখেছেন। বাদী পক্ষকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।’
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available