• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ১২:২০:৩৩ (22-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ১২:২০:৩৩ (22-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

নওগাঁয় মাদ্রাসার সুপার ও সভাপতির বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

২ এপ্রিল ২০২৪ সকাল ০৯:৫৪:৪০

নওগাঁয় মাদ্রাসার সুপার ও সভাপতির বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর আত্রাই উপজেলার হাটকালুপাড়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার ও সভাপতির বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, অনিয়ম ও প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় স্বেচ্ছাচারিতা করে ৩টি পদে নিয়োগের নামে প্রায় ৪৫ লাখ টাকার নিয়োগ বাণিজ্য এবং চাকরি দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিবাদ করায় চাকরি প্রত্যাশী ভুক্তভোগীদের হয়রানি করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এসব সকল অভিযোগ ওই মাদ্রাসার সুপার আবুল হোসেন ও সভাপতি আজাদ হোসেন কবিরাজের বিরুদ্ধে। এছাড়া এক অভিযোগকারীকেই চাকরি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিয়োগপ্রাপ্ত অভিযোগকারী নিজেই।

অভিযোগ সূত্রে ও সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ৩০ মার্চ শনিবার নিরাপত্তাকর্মী, আয়া এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট অংশগ্রহণ করেন ১৪ জন পরীক্ষার্থী। এতে যে ৩ জন নিয়োগ পেয়েছেন তাদের কাছে থেকে মোট ৪৫ লাখ টাকার নিয়োগ বাণিজ্য করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েও নিয়োগ দেয়া হয়নি।

স্থানীয় হাটকালুপাড়ার আকরাম হোসেন বলেন, ‘আমি মাদ্রাসায় নিরাপত্তা কর্মী পদে আবেদন করেছিলাম। তারপর মাদ্রাসা সুপার আবুল হোসেন ও সভাপতি আজাদ হোসেন কবিরাজ আমাকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ১০ লাখ টাকা নেয়। কিন্তু নিয়োগ পরীক্ষা দেওয়ার পর জানতে পারি, ওই পদে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে অন্য একজনকে নিয়োগ দিয়েছেন। পরবর্তীতে টাকা ফেরত চাইতে গেলে, তারা আমাকে নানাভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। আমি এর সুষ্ঠু সমাধানের দাবি জানাচ্ছি।’

শামিমা খাতুন নামের আরেক ভুক্তভোগী বলেন, ‘আয়া পদে নিয়োগের জন্য প্রথমে ১ লাখ ৯৫ হাজার এবং পরবর্তীতে আরও ২ লাখ টাকা দিয়েছিলাম। কিন্তু আরও বেশি টাকার বিনিময়ে অন্য একজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। টাকা ফেরত চাইতে গেলে আমার পরিবারের মা-বাবাসহ অন্য সদস্যদের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন তারা।’

এদিকে এর আগে আলমগীর হোসেন নামের এক ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, ‘নিরাপত্তাকর্মী পদের জন্য আমার কাছে দশ লাখ টাকা দাবি করে সুপার আবুল হোসেন ও সভাপতি আজাদ হোসেন কবিরাজ। আমি তখন ৩ লাখ টাকা দেই তাদেরকে। পরে জানতে পারি, বেশি টাকার বিনিময়ে তারা এই পদে অন্য একজনকে নিয়োগ দেওয়ার পাঁয়তারা করছিল। এসব বিষয় নিয়ে আলমগীর একটা ভিডিও বক্তব্যও দিয়েছিলেন তখন। যেটা এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।’

আর সেই নিরাপত্তাকর্মী পদে আলমগীরেরই চাকরি হয়েছে সম্প্রতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায়। গুঞ্জন আছে আরও তিন লাখ অতিরিক্ত দিয়ে মোট ১৩ লাখ টাকা দেওয়ায় তার চাকরি হয়েছে। তবে টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন আলমগীর। তবে আগের অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করে তিনি মুঠোফোনে বলেন, সেসময় গোপন মারফতে জানতে পেরে নিয়োগ স্থগিত করেছিলাম। টাকা নেওয়ার সত্যতা যাচাই বাছাই হয়েছে। আমার সাথে তাদের কথাবার্তা হয়েছে। আমি অফিসে গিয়ে তাদের কাছে ভুল স্বীকার করেছি। আপোস মীমাংসা হয়ে গেছে। অভিযোগ উঠিয়ে নিয়েছি। দ্বিতীয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে চাকরি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখানে কোনো টাকা লাগেনি।

তাহলে কেন অভিযোগ করেছিলেন বিষয়টি মনে করে দিলে তিনি সঠিকভাবে কোনো উত্তর না দিয়ে বলেন, ‘আপনাদের কীভাবে বুজাবো, বলার মতো ভাষা নেই। আপনার যদি প্রশ্ন করার ইচ্ছে থাকে তাহলে সরাসরি আসেন। আসার পর বসে কথাবার্তা হবে।’

অভিযোগ অস্বীকার করে মাদ্রাসার সভাপতি আজাদ হোসেন কবিরাজ বলেন, নিয়ম মাফিক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ছে। যারা যোগ্য তারাই নিয়োগ পেয়েছে। কোন ধরনের প্রতারণা ও দুর্নীতি করা হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদ্রাসার সুপার আবুল হোসেন উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘যারা অভিযোগ করছে তারা মিথ্যা কথা বলছে। আমরা কোনো ধরনের প্রতারণা ও নিয়োগ বাণিজ্য করিনি।’

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ জানান, নিয়োগ বাণিজ্য বা প্রতারণার বিষয়ে আমার জানা নেই। কেউ কোনো অভিযোগও করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার লুৎফর রহমান জানান, নিয়োগের নামে প্রতারণা বা নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ করেনি আমাদের কাছে। অভিযোগ পেলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তারপরও আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ







ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৯ জনের মৃত্যু
২১ নভেম্বর ২০২৪ রাত ০৮:০৫:৩৩