নরসিংদী প্রতিনিধি: নরসিংদীর মেঘনা নদীতে নৌকা ডুবে ভাই-বোন নিখোঁজের প্রায় ৪৫ ঘণ্টা পর বোন জান্নাতুল আক্তার এনা (১৪) এর মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ।
৬ জুলাই শনিবার দুপুর সাড়ে ৩টায় নৌকা ডুবির ঘটনাস্থল মেঘনা বাজার থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার বিশনন্দী ফেরিঘাট সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ভংগারচর নৌ পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ (উপ-পরিদর্শক) অনিমেশ হালদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এরআগে নিখোঁজের প্রায় ১৪ ঘণ্টা পর শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার দক্ষিণ চরভাসানিয়া বেড়ি বাঁধের পাশ থেকে ভাসমান অবস্থায় আব্দুল্লাহ ইউসুফ (১২) এর মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।
ভংগারচর নৌ পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ (উপ-পরিদর্শক) অনিমেশ হালদার জানান, সকাল থেকেই নদীতে ট্রলার নিয়ে নিখোঁজ জান্নাতুল আক্তার এনাকে উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করছিলো নৌ পুলিশ। তারপরও তার কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিলো না।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার বিশনন্দী ফেরিঘাট সংলগ্ন নদীতে একটি মরদেহ ভেসে উঠতে দেখে স্থানীয়রা। পরে তারা মরদেহটি তীরের কাছে আটকে রেখে আমাদের খবর দিলে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। পরিবার মরদেহটি এনার বলে চিহ্নিত করলে তাকে উদ্ধার করে ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয়।
নওঁগা জেলার শৈলগাছির বাসিন্দা ইমতিয়াজ আলী স্ব-পরিবারে মাধবদীর টাটাপাড়ায় একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় মেঘনা বাজার ঘাট থেকে পার্শ্ববর্তী চরদিঘলদীর বগারগোত এলাকায় তাদের আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন।
এ সময় মাঝ নদীতে ইমতিয়াজ আলী, তার স্ত্রী দিলারা বেগম, দুই সন্তান আব্দুল্লাহ ইউছুফ (১২) ও জান্নাতুল আক্তার এনা (১৪) সহ ছয়জন নিয়ে নৌকাটি ডুবে যায়। পরে আশেপাশের ট্রলার থেকে লোকজন ইমতিয়াজ, দিলারা বেগম, আব্দুল মতিন ও রুহুলকে উদ্ধার করতে পারলেও ইউসুফ ও এনাকে উদ্ধার করতে পারেনি।
শুক্রবার সকালে নিখোঁজের প্রায় ১৪ ঘণ্টা পর দক্ষিণ চরভাসানিয়া বেরি বাঁধের পাশ থেকে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় এলাকাবাসী ও জেলেরা। দুপুর ১২টায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর শনিবার দুপুর সাড়ে তিনটায় জান্নাতুল আক্তার এনা (১৪) র ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available