• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ১২:৩০:১৪ (22-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ১২:৩০:১৪ (22-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

শিক্ষকদের পদোন্নতি দীর্ঘদিন বন্ধ, ফেসবুকে পোস্ট করে বিভাগীয় মামলা খেলেন শিক্ষক

৭ জুলাই ২০২৪ বিকাল ০৫:১৮:৫৮

শিক্ষকদের পদোন্নতি দীর্ঘদিন বন্ধ, ফেসবুকে পোস্ট করে বিভাগীয় মামলা খেলেন শিক্ষক

কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি: জয়পুরহাটের কালাই পৌরসভার কলেজপাড়া এলাকার বাসিন্দা মু. মাহবুবর রহমান। যিনি ক্ষেতলাল উপজেলার হিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন সমন্বয় পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

ফেসবুকে শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির কথা তুলে ধরার কারণে তিনি বারবার বিভাগীয় মামলার শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন।

জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২৩ জুন জয়পুরহাট জেলা শিক্ষা অফিসার মো. আমিনুল ইসলামের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগনামা দিয়ে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়।

অভিযোগে বলা হয়, মু. মাহবুবর রহমান গত ৩১ মে ফেসবুকে তার ব্যক্তিগত আইডি থেকে ‘প্রাথমিক শিক্ষার মূল চালিকা শক্তি সহকারী শিক্ষকদের ২০০৯ সাল থেকে পদোন্নতি বন্ধ, কেহ কেহ চাকরি জীবন শেষ করে অবসরে’ এই মর্মে পোস্ট করেন, যা বাস্তবতাবর্জিত ও অসত্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বিভিন্ন শিক্ষক বিদ্রুপপূর্ণ মন্তব্য করেছেন, যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা তথা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।

বিভাগীয় মামলার নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, এই ধরনের পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা-২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ) এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর পরিপন্থী। এছাড়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা, নেতিবাচক, ডিপার্টমেন্ট বিরোধী মন্তব্য করা সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৩ (খ) অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষক নেতা মু. মাহবুবর রহমানকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, তিনি কোনো অন্যায় করেননি।

শিক্ষকনেতা মু. মাহবুবর রহমানের বিরুদ্ধে বিভাগের মামলা রুজু করার বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আমিনুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘সরকারি কর্মচারী হিসেবে মু. মাহবুবর রহমানের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ধরনের পোস্ট করা শৃঙ্খলা ভঙ্গের শামিল। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছি এবং তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

উল্লেখ্য, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মামলা জটিলতার কারণে প্রায় ১৪ বছর যাবৎ পদোন্নতি বন্ধ থাকার পর ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে কিছু উপজেলায় পদোন্নতি চালু হয়। দেশের ৫০৭ উপজেলার মধ্যে মাত্র ১৮/১৯টি উপজেলায় পদোন্নতি দেওয়ার পর আবারও শিক্ষকদের পদোন্নতি বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ সময় পদোন্নতি বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষক তাদের চাকরি জীবন শেষ করে অবসরে গেছেন, কিন্তু তাদের পদোন্নতি হয়নি।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ







ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৯ জনের মৃত্যু
২১ নভেম্বর ২০২৪ রাত ০৮:০৫:৩৩