মো. সিদ্দিকুর রহমান ইমন, মাধবদী (নরসিংদী) প্রতিনিধি: পরকীয়ায় আসক্ত স্ত্রী রোজিনা বেগম ও তার পরকীয়া প্রেমিক আলম মিয়ার অত্যাচারে দুই শিশু সন্তান নিয়ে নিজ বাড়িতে ডুকতে পারছেন না ভুক্তভোগী স্বামী মো. আলামিন। নরসিংদীর সদর উপজেলার কাঁঠালিয়া ইউনিয়নের মধ্য বয়সী স্বামী মো. আলামিন দুই শিশুসন্তান নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন উপজেলার কাঁঠালিয়ার খড়িয়া বাজারের এক ব্যবসায়ীর মার্কেটের দ্বিতীয় তলায়।
জানা যায়, ভুক্তভোগী মো. আলামিন কাঁঠালিয়া ইউনিয়নের মৃত: আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। তার স্ত্রী একই গ্রামের ইছব খাঁর মেয়ে রোজিনা বেগম। পরকীয়া প্রেমিক আলমের যোগসাজশে নিজের স্বামীকে বিভিন্নভাবে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। পরে স্বামী তার পরকীয়া আসক্ত স্ত্রী রোজিনা বেগমকে পরকীয়া ছেড়ে দিয়ে ভালো হয়ে চলার অনুরোধ জানিয়ে ব্যর্থ হয়ে সামাজিকভাবে সালিশ বৈঠকে অভিযোগ দায়ের করেন।
এরপর সালিশ শেষে বাড়িতে এসে দেখেন স্ত্রী ও তার পরকীয়া প্রেমিক আলমসহ কিছু সন্ত্রাসীদের নিয়ে বাড়ি-ঘর দখল করে রেখেছে। তখন সন্ত্রাসীদের হাত থেকে জানে বাঁচতে বাধ্য হয়ে দুই শিশু সন্তান নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন ওই স্বামী। মানবিক কারণে আশ্রয় পায় খড়িয়া বাজারের একটা মার্কেটের দ্বিতীয় তলার একটা ছোট্র কক্ষে। এখন পর্যন্ত স্বামী তার দুটো শিশু সন্তান নিয়ে সেখানেই মানবেতর জীবনযাপন করছেন। সামাজিকভাবে সালিশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাঁঠালিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী।
ভুক্তভোগী স্বামী আলামিন জানান, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আমি দু'টি শিশু সন্তান নিয়ে বাড়িছাড়া। মানুষের বাড়ির বারান্দায়, খোলা আকাশের নিচে, বাজার চত্বরে কাটছে আমাদের সময়। ছোট দু’টি শিশু নিয়ে এখন রাত কাটাতে হচ্ছে অন্যের আশ্রয়ে। আমার স্ত্রী ও পরকীয়া প্রেমিক মিলে আমাকে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলছে। নয়তো দুটো বাচ্চাসহ প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।
তিনি আরও জানান, তিনি দুই শিশু সন্তান নিয়ে নিরাপত্তাহীন থাকায় মাধবদী থানায় অভিযোগ দায়ের করে আশানুরুপ কোনো আইনী সহায়তা না পেয়ে নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে রোজিনা বেগমের কাছে জানতে চাইলে, তিনি মো. আলামিনকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে ফোন রেখে দেন।
ঘটনাটি শুনেছেন জানিয়ে মাধবদী থানার উপ-পরিদর্শক ইলিয়াস মিয়া এ প্রসঙ্গে বলেন, বিষয়টি নিয়ে তারা পরে আর আসেনি। তাদের কোনো খোঁজখবরও নেই। তারা মিলে গেছে কি না আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমা সুলতানা নাসরীন বলেন, আমি বিষয়টি দেখছি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available