• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ০৯:০৩:০৭ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ০৯:০৩:০৭ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

সৈয়দপুরে পেপার মিলের ক্যামিক্যাল মিশ্রিত বিষাক্ত পানিতে ফসল নষ্টের অভিযোগ

২০ অক্টোবর ২০২৩ সকাল ০৯:২২:১০

সৈয়দপুরে পেপার মিলের ক্যামিক্যাল মিশ্রিত বিষাক্ত পানিতে ফসল নষ্টের অভিযোগ

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি: নীলফামারীর সৈয়দপুরে ইকু পেপার মিলের ক্যামিক্যাল মিশ্রিত বিষাক্ত পানি ফেলা হচ্ছে পাশের খড়খড়িয়া নদীতে। মিলের বিষাক্ত পানির কারণে মারা যাচ্ছে নদীর মাছ। নদীর পানিতে নামলে মানুষের শরীরে দেখা দিচ্ছে চুলকানি রোগ। অনেক সময় ওই পানির কারণে শরীরে দানাদার লালচে ফুটকা দেখা দেয়। এমন কথা জানালেন ওই এলাকার একাধিক মানুষ। তারা বলছেন, ইকু পেপার মিল চালুর পর থেকে মিলের বর্জ্যসহ ক্যামিক্যাল মিশ্রিত বিষাক্ত পানি ফেলা হচ্ছে নদীতে। পেপার মিলের মালিক সিদ্দিকুল আলম সুকৌশলে তার কোম্পানির ওই বিষাক্ত পানি ফেলছেন নদীতে।

এ ব্যাপারে এলাকার লোকজন বার বার তাকে নদীতে পানি ফেলতে নিষেধ করলেও তিনি কোন কর্ণপাত করছেন না।

কুন্দল এলাকার কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি এক বিঘা জমিতে আমন রোপণ করেছি। প্রতি বছর পানি সংকট দেখা দিলে নদী থেকে পানি সংগ্রহ করে আমন রোপণ করতাম। কিন্তু ইকু পেপার মিল চালুর পর থেকে নদীর পানি বিষে পরিণত হয়েছে। নদীর পানিতে নামলে গা চুলকায়, শরীরে লালচে ফুটকা উঠে। কোন কোন সময় ওই ফুটকা ব্যথাও করে। আর নদীর পানি সেচ কাজে ব্যবহার করলে ফসল নষ্ট হয়ে যায়। এ বিষয়গুলো মিল মালিককে অবহিত করা হলেও তিনি আমাদের কোনো কথা শুনছেন না। ওই বিষাক্ত পানির কারণে মারা যাচ্ছে নদীর মাছ, নষ্ট হচ্ছে ক্ষেতের ফসল।

স্থানীয় বাসিন্দা সবুর আলম জানান, মিলের বিষাক্ত কালো ধোঁয়া এলাকার পরিবেশ নষ্ট করছে। তাছাড়া ধোঁয়ার কারণে শাকসবজি নষ্ট হচ্ছে, মারা যাচ্ছে। আম, কাঁঠাল, লিচু, সুপারি, নারকেল, কমলা গাছ মারা যাচ্ছে।

সোনাপুকুর এলাকার আনোয়ার হোসেন বলেন, ধোয়ার কারণে কোন গাছেই ফল ধরছে না। আবার কোনও কোনও গাছে ফল ধরলেও সেগুলো কিছুদিন পর ঝরে যায়। তাই ওই মিলের ধোয়া ও বিষাক্ত পানি থেকে আমরা মুক্তি চাই।

তিনি আরও বলেন, ওই নদীর পানিতে নামলে অনেকের শরীরে দেখা দিয়েছে চর্মরোগ। মিলের ধোঁয়া যখন বের হয় তখন আশপাশের বাসাবাড়িতে থাকা মুশকিল হয়ে পড়ে। এমনকি ওই সময় পুরো এলাকা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়।

দীর্ঘদিন থেকে এ অবস্থা বিরাজ করলেও পরিবেশ অধিদপ্তর বা দায়িত্বে থাকা বড় কর্তাদের যেন কোন মাথা ব্যথা নেই। মিল কর্তৃপক্ষ বর্জ্য ও বিষাক্ত পানি পার্শ্ববর্তী নদীতে নিষ্কাশন করছে। ওই বিষাক্ত পানি গড়িয়ে পড়ছে পাশের ফসলের জমিতে। খড়খড়িয়া নদীর প্রায় ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত পানি দূষিত হয়ে পড়েছে। ওই পানি থেকে ছড়াচ্ছে ভীষণ দুর্গন্ধ।

এ ব্যাপারে মিল মালিক সিদ্দিকুল আলমের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

পরিবেশ দূষণ বিষয়ে নীলফামারী জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কমল কুমার বর্মন বলেন, মিলের পানি নিজের জায়গায় ফেলতে হবে। সরকারি কোনও নদীর পানিতে তো নয়ই। যদি এমন হয়ে থাকে তাহলে আমরা ওই মিল মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এ ব্যাপারে নীলফামারী জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ বলেন, কোম্পানির বিষাক্ত ক্যামিক্যাল মিশ্রিত পানি নদীতে ফেলা অপরাধ এবং কালো ধোঁয়ায় যদি পরিবেশের ক্ষতি হয় তাও অপরাধ। যদি এমন হয়ে থাকে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ





ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৯ জনের মৃত্যু
২১ নভেম্বর ২০২৪ রাত ০৮:০৫:৩৩