স্টাফ রিপোর্টার, পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার প্রিয়ন্তী রায় প্রমি (১৫) নামের এক কিশোরী ৯ ডিসেম্বর সোমবার রাতে অবৈধপথে ভারতে প্রবেশের পর বিএসএফের হাতে আটক হয়েছেন। আর দেশে চলমান ইসকন ইস্যুকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করতে এবং দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে ভারতীয় মিডিয়া মিথ্যাচার করছে। এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে পঞ্চগড় জেলা পুলিশ।
১৫ ডিসেম্বর রোববার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এ সম্মেলন করেন পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ৯ ডিসেম্বর সোমবার দুপুরে প্রিয়ন্তী রায় প্রমি তার মামা বাড়িতে যান। পরে ওইদিন রাতে অবৈধ উপায়ে ভারতের সীমান্ত অতিক্রম করে। প্রমির চোখের সমস্যা থাকায় ভারতে ডাক্তার দেখানোর কথা ছিল। তবে ভিসা পাচ্ছিলেন তারা। পরে রাতেই ভারতে অনুপ্রবেশ করতে গিয়ে ভোর রাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে আটক হন তিনি। পরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর দিনাজপুর জেলার চপড়ামারী থানায় তাকে নিয়ে যায় বিএসএফ। পরে প্রমির ভারতীয় এক আত্মীয় ওই থানায় গিয়ে নাতনীর পরিচয় দেন। পরে থানা থেকে বাংলাদেশি কিশোরী প্রমিকে আদালতের নির্দেশে সেফহোমে নেয়া হয়।
এদিকে প্রমির ভারতে যাওয়া নিয়ে একটি ভিডিওটি তৈরি করেছে আর বাংলাসহ ভারতীয় কয়েকটি গণ মাধ্যমে। এ নিয়ে জেলা জুড়ে সমালোচনা শুরু হলে তদন্তে নামে পুলিশ। পুলিশ বলছে দেশের বিরুদ্ধে গুজব ও বিভ্রান্ত ছড়ানো হচ্ছে। একই সাথে ভারতের মিডিয়া মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে গুজব ছড়িয়ে সম্প্রদায়িক সহিংসতা সৃষ্টি করছে।
উল্লেখ্য, এ ঘটনার পর পরিচিত দূর সম্পর্কের এক আত্বীয়ের বানোয়াট বক্তব্য নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে মিথ্যাচার করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে প্রমির পরিবার। তবে প্রমির বাবা কিছুদিন আগে স্ট্রোক করলেও বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন। ভারতে কীভাবে গেলেন প্রমি বিষয়টি জানে না পরিবার। তবে নিরাপদে আছেন ভালো আছেন বলে জানান তারা। নিজের সন্তানকে নিরাপদে দেশে ফেরত পেতে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এসে আবেদন করেছেন প্রমির বাবা মা।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available