শরীয়তপুর প্রতিনিধি: দুই ভাইয়ের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক ভাইয়ের পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন করার অভিযোগ উঠেছে। এতে প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে দাবি করে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
১ মে বুধবার দুপুরে শরীয়তপুর সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের হিজলতলা গ্রামে গিয়ে দেখা যায় মোতালেব সরদারের পুকুরের মাছ মরে ভেসে উঠেছে।
ভুক্তভোগী ও থানায় দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হিজলতলা গ্রামের পশ্চিম সোনামুখি এলাকার গগন সরদারের দুই ছেলে মোতালেব সরদার ও মোতাহার সরদারের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। এই দ্বন্দ্বের জের ধরে বেশ কয়েকবার মোতাহার সরদার তার ভাই মোতালেব সরদারের পুকুরের মাছ মেরে ফেলার চেষ্টা করে। বুধবার রাতে মোতাহার সরদার অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নিয়ে মোতালেব সরদারের পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে। বিষক্রিয়া হয়ে পুকুরের সব মাছ মারা গেলে স্থানীয় সুরভী আক্তার পুকুরের মালিক মোতালেব সরদারকে খবর দেয়। এরপর পুকুর পাড়ে গিয়ে মোতালেব সরকার দেখতে পান পুকুরের রুই, কাতলা, মৃগেল, টেংড়া, ফলি, বেলে, শিং, কইসহ বিভিন্ন প্রকার মাছ বিষের প্রভাবে মরে পানিতে ভেসে উঠেছে। এতে প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এরপর তিনি বিষয়টি থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।
পুকুরের মালিক মোতালেব সরদার বলেন, সকালে খবর পেয়ে পুকুর পাড়ে এসে দেখি পুকুরের সব মাছ মরে ভেসে উঠেছে। এক বছর ধরে আমি মাছের পরিচর্যা করেছি। রমজানেও একটি মাছ ধরে পরিবার নিয়ে খাইনি ভালো দামের আশায়। আমার ভাই মোতাহার সরদার ছাড়া এলাকায় আমার কোনো শত্রু নেই। সে ছাড়া এমন কাজ আর কেউ করতে পারে না। আমি থানা পুলিশকে জানিয়েছি। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই আমি।
অভিযোগ অস্বীকার করে মোতাহার সরদার বলেন, আমার ভাইয়ের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে আমার শত্রুতা আছে একথা ঠিক। কিন্তু তার পুকুরের মাছ কীভাবে মরল সে বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
বিষয়টি নিয়ে পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আহাম্মেদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available