নিজস্ব প্রতিবেদক: কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার কারণে পোশাক রফতানিকারকদের সাত দিনের বন্দর ডেমারেজ চার্জ মওকুফ (পণ্য খালাসের বিলম্বের কারণে চার্জ) করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
২৮ জুলাই রোববার ক্ষতিপূরণ নিয়ে বিজিএমইএ নেতাদের সঙ্গে সচিবালয়ে বৈঠকের পর নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের কাছে তাদের দাবি আছে। এগুলো কিছু আছে এনবিআর, কিছু অর্থ মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত, কিছু বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত। সেগুলো তারা আমাকে অবহিত করেছে। সেই বিষয়গুলো সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ মুহূর্তে আমার কাছে যেটুকু সামর্থ্য আছে সেইটুকু আমি করতে পারি। এর বেশি করতে হলে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। পণ্য আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে একটা আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল। কিন্তু চট্টগ্রাম বন্দর সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল।
ব্যবসায়ীদের সুবিধার জন্য সরকার অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে জানিয়ে খালিদ মাহমুদ বলেন, আমাদের সড়ক, রেল ও নৌ-যোগাযোগ, আকাশপথ সবই উন্নত হয়েছে। আমরা বলেছিলাম, ব্যবসায়ীরা যদি আমাদের কাছে কোনো সহযোগিতা চায় আমরা করব।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিজিএমইএ-এর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হয়েছে। আমরা তাদের বলেছি, তাদের যে তালিকা আছে সেটা যদি আমাদের দেওয়া হয়, তাহলে আমরা সর্বোচ্চ সাত দিনের ডেমারেজ চার্জ মওকুফ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিজিএমইএ-এর পক্ষ থেকে যদি আমাদের তালিকটা দেয়, তাহলে আমরা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো।
ইন্টারনেট বন্ধ ও সহিংসতার কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ থাকায় কনটেইনারবাহী গাড়িগুলো আসতে পারেনি, আটকে গিয়েছিল। এ কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনারের জট লেগে যায় বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
অন্যান্য রপ্তানিকারকদের ক্ষেত্রে কি হবে জানতে চাইলে-নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই সুবিধা শুধু বিজিএমইএ’র ক্ষেত্রে, জেনারেল নয়। সবাইকে এই সুবিধা দিতে হলে আমাদের আরও উচ্চ পর্যায়ে কথা বলতে হবে। এটা করার ক্ষমতা আমাদের নেই।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available