পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহমেদের নির্দেশেও বন্ধ হয়নি নরসিংদীর পলাশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো। উপজেলা শিক্ষা অফিসের মৌখিক নির্দেশেই খোলা রাখা হয়েছে বিদ্যালয়গুলো। ৪ আগস্ট রোববার উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, শিক্ষকরা যথারীতি অফিস কক্ষে বসে অলস সময় পার করছেন। তবে কোনো শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে দেখা যায়নি। এদিকে বিদ্যালয়গুলো খোলা নিয়ে শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
অপরদিকে বিদ্যালয় খোলা থাকার খবর পেয়ে অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে এসে ফেরত যেতেও দেখা গেছে। বিদ্যালয় খোলা রেখে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় অভিভাবকরা বিভ্রান্তির শিকার হচ্ছেন বলেও কয়েকজন অভিভাবক জানান।
কোটা আন্দোলনকে ঘিরে সৃষ্ট সহিংসতার কারণে গত ২৪ জুলাই বুধবার থেকে সারাদেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরে আবার আজ ৪ আগস্ট খোলার নির্দেশ দিলেও কোটা আন্দোলনকে ঘিরে সৃষ্ট সহিংসতার কারণে গতকাল ৩ আগস্ট পুনরায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহমেদ প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বন্ধের নির্দেশ দেয়।
কিন্তু সে নির্দেশ অমান্য করে পলাশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গত ২৪ জুলাই থেকেই খোলা রেখেছেন পলাশের উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির পলাশ শাখার সভাপতি ও উপজেলা শিশু শিক্ষা নিকেতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুলতান উদ্দিন জানান, সরকার বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করলেও উপজেলা শিক্ষা অফিসের নির্দেশে আমরা অফিস খোলা রেখেছি। তাই প্রতিদিন শিক্ষা অফিসের নির্দেশে নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ে অবস্থান করছেন।
উপজেলার সানেরবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নাসরিন সুলতানা জানান, উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মৌখিক নির্দেশে কোনো রকম শ্রেণি কার্যক্রম ছাড়াই বিদ্যালয়ে আমরা অফিস সময় পর্যন্ত অবস্থান করছি। প্রতিদিন নানা রকম বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে শ্রেণিপাঠ ছাড়াই ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে সময় পার করছি।
নাম প্রকাশে একাধিক শিক্ষক জানান, কোটা আন্দোলনে অনেক জায়গায় রাস্তা অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। আমরা পায়ে হেঁটে অতি কষ্টে বিদ্যালয়গুলোতে এসে অলস সময় পার করছি।
এ ব্যাপারে পলাশ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মাহফুজা খান ইউসুফজী জানান, আমরা নরসিংদী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের নির্দেশে বিদ্যালয়গুলো খোলা রেখেছি। তবে লিখিত কোনো চিঠি পাইনি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়গুলো খোলা রেখে শিক্ষকরা বাচ্চাদের জন্য কন্টেন্ট তৈরি করাসহ বিভিন্ন কাজগুলো করছে। তবে সরকারি নির্দেশ না আসা পর্যন্ত ক্লাসে পাঠদান বন্ধ থাকবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available