আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অন্যান্য বছরের মতো চলতি বছরেও রমজান মাসে পবিত্র আল-আকসা মসজিদে নামাজ আদায় করতে পারবেন ফিলিস্তিনের মুসলমানরা।
৫ মার্চ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বিগত বছরগুলোতে রমজানের প্রথম সপ্তাহে যত সংখ্যক মুসল্লি টেম্পল মাউন্টে (আল-আকসা) আসতেন, এ বছরও তাতে কোনো ব্যতিক্রম হবে না। তবে প্রতি সপ্তাহে জেরুজালেম ও টেম্পল মাউন্ট এলাকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে। তার ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
জানা যায়, ফিলিস্তিনের লাখ লাখ মুসল্লি প্রতি বছর রমজান মাসে আল-আকসা মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসেন। তবে গত পাঁচ মাস ধরে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান এবং তার জেরে পশ্চিম তীর অঞ্চলে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী ও বসতকারীদের সঙ্গে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের সংঘাতের কারণে এ বছরের পরিস্থিতি খানিকটা ভিন্ন।
এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, আসন্ন রমজানে আল-আকসায় মুসল্লিদের প্রবেশের পক্ষে ছিল না ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং কট্টর ডানপন্থি রাজনীতিক ইতামার বেন গিভির বলেছিলেন, এবারের রমজানে আল-আকসায় পশ্চিম তীরের মুসল্লিদের প্রবেশ করতে দেওয়া ‘উচিত হবে না’।
কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, প্রথমত এটি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ, আমরা এখন এই ঝুঁকি নিতে পারি না। দ্বিতীয়ত, যেখানে আমাদের নারী ও শিশুরা গাজায় জিম্মি হিসেবে আটক রয়েছে, সেখানে (রমজান মাসের নামাজ আদায়ের মাধ্যমে) টেম্পল মাউন্টে হামাস তা উদযাপন করবে— এমনটাও আমরা হতে দিতে পারি না,’ কয়েক দিন আগে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন বেন গিভির।
এরপর তার মন্তব্যের ভিত্তিতে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র রমজান মাসে আল আকসায় মুসল্লিদের নামাজ পড়তে দিতে ইসলায়েলকে আহ্বান জানায়। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘এটি কেবল মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেওয়াই নয়, বরং ইসরায়েলের নিরাপত্তার সঙ্গেও ব্যাপারটি সম্পর্কিত। পশ্চিম তীরে বা বৃহত্তর অঞ্চলে উত্তেজনা ছড়ালে তা ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠবে।’
প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর থেকে বিবৃতি দেওয়ার কিছু সময় পর পৃথক এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের জন্য রমজান একটি পবিত্র মাস। বিগত বছর গুলোর মতে এ বছরও এই মাসের পবিত্রতা অক্ষুন্ন রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে ইসরায়েল।’
উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালিয়ে সামরিক-বেসামরিক ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিকসহ ১ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করে গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় আরও ২৪০ জন ইসরায়েলি এবং অন্যান্য দেশের নাগরিককে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available