আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদের জন্য ফিলিস্তিনকে সমর্থন দিয়েছে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ। শুক্রবারের ভোটে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবনা গৃহীত হয়েছে।
১০ মে শুক্রবার সাধারণ পরিষদে এই প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হয়। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ১৯৩টি সদস্যদেশ রয়েছে। এর মধ্যে ১৪৩টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। আর বিপক্ষে ভোট দেয় যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইলসহ ৯টি দেশ। ভোটদানে বিরত ছিল ২৫টি দেশ।
জাতিসংঘে যোগ দেওয়ার যোগ্য হিসাবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়ে বিষয়টি আনুকূল্যের সঙ্গে পুনর্বিবেচনা করার জন্য নিরাপত্তা পরিষদের কাছে সুপারিশ করেছে সাধারণ পরিষদ। ফিলিস্তিনিদের দাবির প্রতি বিশ্ববাসীর সমর্থনের বিষয়টিই যেন যাচাই হয়েছে শুক্রবারের ভোটের মাধ্যমে।
ফিলিস্তিনকে কার্যত রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ারই পদক্ষেপ এটি। গত মাসে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে এই প্রচেষ্টা ভেস্তে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোর কারণে।
সাধারণ পরিষদে শুক্রবারের ভোটের এই ফলাফলে ফিলিস্তিন জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ না পেলেও তারা এই বিশ্ব সংস্থায় যোগ দেওয়ার যোগ্য হিসাবে স্বীকৃতি পেল। প্রস্তাবে বলা হয়, “সাধারণ পরিষদ প্রস্তাবনা নির্ধারণ করেছে যে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে সদস্য হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত এবং নিরাপত্তা পরিষদকেও বিষয়টি আনুকূল্যের সঙ্গে পুনর্বিবেচনার জন্য সুপারিশ করা হচ্ছে।”
ফিলিস্তিন বর্তমানে জাতিসংঘ সদস্য না হলেও ২০১২ সালে তারা জাতিসংঘে পর্যবেক্ষকের মর্যাদা পেয়েছে। জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ লাভের জন্য ফিলিস্তিন বছরের পর বছর চেষ্টা চালিয়ে আসছে। ২০১১ সালে পূর্ণ সদস্য রাষ্ট্র হওয়ার জন্য প্রথমবারের মতো আবেদন করেছিল ফিলিস্তিন। এরপর গাজায় ইসরাইলের সামরিক অভিযানের মধ্যে ফিলিস্তিন গত মাসের শুরুতে আবারও সদস্যপদের জন্য আবেদন করে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভোটের আগে জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর বলেছিলেন, “আমরা শান্তি চাই। মুক্তি চাই। একটি হ্যাঁ ভোট মানে ফিলিস্তিনের অস্তিত্বের জন্য ভোট। এটি কোনও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ভোট নয়, এটি শান্তির পথে বিনিয়োগ।”
সূত্র: আলজাজিরা
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available