শার্শা (যশোর) প্রতিনিধি: বেনাপোল বন্দরে পাসপোর্টধারীদের সাথে প্রতারণায় অভিযুক্ত ৮টি সাইনবোর্ডবিহীন অবৈধ দোকানে তালা ঝুলিয়েছে পুলিশ। এছাড়া আরও ৪টি দোকান মালিককে সতর্ক বার্তা জানানো হয়েছে।
৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে বেনাপোল বন্দরের চেকপোস্টে অবস্থিত এসব দোকানে তালা ঝুলানো হয়। এ সময় সেখানে বাজার কমিটি, রাজনৈতিক নেতা ও সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে যাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণা ও ভ্রমণ ট্যাক্স জালিয়াতির ঘটনায় চেকপোস্ট এলাকায় ঝটিকা অভিযান চালিয়ে ১০টি ভুয়া প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে মামলা দেওয়া হয়েছিল। এদের মধ্যে বন্দরের সাদিপুর সড়কে বেনাপোল ট্রাভেল পয়েন্টের শামিম এবং চৌধুরি ও মসজিদ মার্কেটের সাইবোর্ডবিহীন ৯টা দোকান তালা দেয় পুলিশ। তবে তারা আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে বেরিয়ে আবারও প্রতারণায় জড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা জানান, চিকিৎসা ব্যবসাসহ বিভিন্ন কাজে বেনাপোল বন্দর হয়ে সবচেয়ে বেশি পাসপোর্টধারী যাতায়াত করে ভারতে। এসব যাত্রীরা যখন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাসপোর্ট যোগে বন্দরে নামে, তখন এক শ্রেণির ছিনতাইকারী বিভিন্ন পরিচয়ে পাসপোর্টের ফরম বা ভ্রমণ ট্যাক্স কেটে দেওয়ার কথা বলে স্থানীয় বিভিন্ন মার্কেটে সাইন বোর্ড বিহীন ঘরে বসায়। পরে বিভিন্ন প্রতারণার মাধ্যমে কখনো ভয়-ভীতি দেখিয়ে সাথে থাকা অর্থ ছিনিয়ে নেয়। এছাড়া একটি মহল ছিল বন্দর ও কাস্টমসের জাল কাগজ তৈরি করে ভ্রমণ করে। তবে সেখানে বিভিন্ন সংস্থার নিরাপত্তা বাহিনী থাকলেও প্রতিরোধে তেমন কোনো ভূমিকা রাখতো না।
সবশেষে মঙ্গলবার বন্দরের প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল থেকে ৮ পাসপোর্টধারীর কাছ থেকে ২ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় প্রতারকরা। অবশেষে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারীদের ব্যবহৃত ৮টি অবৈধ দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
বেনাপোল চেকপোস্টের ট্রাভেল ব্যবসায়ী রুবেল হোসেন জানান, প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর ব্যবহার করে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে প্রায় ৮ হাজার যাত্রী যাতায়াত করে থাকে। যাদের মধ্যে প্রায় শতাধিক পাসপোর্টধারী ছিনতাই ও প্রতারণার শিকার হচ্ছে।
ভুক্তভোগী পাসপোর্ট যাত্রী ঢাকা সাভারের মুন্না জানান, তিনি ও তার বাবা ভারতে যাওয়ার জন্য চেকপোস্টে নামলে ফরম লেখার নাম করে তাকে একটি কম্পিউটারের ঘরে বসায়। পরে সেখান থেকে পাশের আরেক ঘরে নিয়ে তার কাছ থেকে দুই হাজার ও তার বাবর কাছ থেকে ৭ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
অভিযুক্ত ছিনতাইকারীরা হলো- চৌধুরি সুপার মার্কেটের রবি, সাইদুর সুপার মার্কেটের বাবুল, রেজাউল সুপার মার্কেটের হামিদ, ইউনুস সুপার মার্কেটে বরিশালের শামীম, রবি, সয়েব, ইবাদত, হৃদয়, শিমুল, ইমরান ও মারুফ।
বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন ভক্ত জানান, প্রতিদিন নানান কৌশলে পাসপোর্টধারীদের জিম্মি করে ছিনতাই করে আসছিল প্রতারক চক্ররা। এ ধরনের প্রতারকদের ৮টি অবৈধ প্রতিষ্ঠানে তালা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অন্যদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। এর আগে ১০টি প্রতিষ্ঠানে তালা দেওয়া হয়েছিল বলে জানান ওসি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available