বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটের মোংলায় এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে হেফজ মাদ্রাসায় পড়ুয়া ১১ বছরের এক শিশুছাত্রকে বলাৎকার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ২৩ আগস্ট শুক্রবার মোংলা উপজেলার কলেজ রোড এলাকার মোংলা বন্দর আইডিয়াল ক্যাডেট মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম হাফেজ শাহারিয়ার (৪২)। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পিতা বাদী হয়ে মোংলা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। এদিকে মাদ্রাসা কমিটি ও কয়েকজন শিক্ষক ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শিক্ষক বর্তমানে পলাতক রয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী বাথরুমে যাওয়ার জন্য হেফজ শাখা থেকে অনুমতি নেওয়ার জন্য শিক্ষকের ব্যক্তিগত রুমে গেলে শিক্ষক হাফেজ শাহারিয়া ভুক্তভোগীকে ধাক্কা দিয়ে তার শোবার খাটের উপর ফেলে এবং তার পরনের পাজামা খুলে জোর করে তাকে বলাৎকার করার চেষ্টা করে। ভুক্তভোগী শিশু ছাত্র ভয়ে চিৎকার করার চেষ্টা করলে অভিযুক্ত শিক্ষক বালিশ দিয়ে তার মুখ চেপে ধরে।
এ সময় ভুক্তভোগী শিশু ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়লে অভিযুক্ত শিক্ষক তাকে ভয়ভীতি দিয়ে বলে, এই ঘটনার বিষয়ে কাউকে বললে ভুক্তভোগী শিশু ছাত্রকে মাদ্রাসা থেকে বের করে দিবে। ভুক্তভোগী শিশু ছাত্র আতঙ্কে মাদ্রাসার কাউকে কিছু না বলে বাসায় গিয়ে তার মাকে বিষয়টি বললে মা তার ছেলেকে নিয়ে মাদ্রাসায় গিয়ে সকল শিক্ষকদের কাছে বিষয়টি বললে শিক্ষকগণ ও কমিটির লোকজন বিষয়টি দেখবে ও বিচার করবে বলে আশ্বাস দেয়। কিন্তু মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেয়নি বলেও অভিযোগে বলা হয়।
বন্দর আইডিয়াল ক্যাডেট মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের সভাপতি মাও. আব্দুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তদন্ত করে ঘটনা যদি সত্যতা পাই তাহলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো। এ বিষয়ে মোংলা বন্দর আইডিয়াল ক্যাডেট মাদ্রাসার অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ শাহারিয়া বলেন, এটা মিথ্যা ও তার বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্র।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে. এম আজিজুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাৎকারের একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে আমাদের পুলিশ সদস্য পাঠানো হয়েছিলো। তদন্তে সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available