আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত পরিস্থিতি তদারকি, প্রবাসী এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তার বিষয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে নয়াদিল্লি। কমিটিতে বিএসএফ ও সেনাবাহিনীর শীর্ষ কয়েকজন কর্মকর্তা রয়েছেন।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার খবর পাওয়া যায়। এ ঘটনা কেন্দ্র করে বাংলাদেশে আছেন এমন ভারতীয় এবং সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়টি দেখতে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
৯ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেয়া এক পোস্টে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই কমিটি ঘোষণা করেন।
দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যমের দাবি, বাংলাদেশে থাকা ভারতীয় নাগরিক এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই পর্যবেক্ষণ কমিটি কাজ করবে। বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে এই কমিটি কাজ করবে বলেও দাবি করা হয়।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে চলা বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যেই ভারত বাংলাদেশে তাদের ভিসা কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়। বন্ধ রয়েছে দু দেশের রেল যোগাযোগও।
সীমান্তের ভারতীয় অংশে কাস্টমস ইমিগ্রেশনেও নজরদারি অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে কড়াকড়ি আরোপ রয়েছে। সেই সঙ্গে সীমান্তে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীও নিয়েছেন বাড়তি সতর্কতা।
এর আগে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেয়া এক পোস্টে দেয়া অভিনন্দন বার্তায় বাংলাদেশে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার ব্যাপারে জোর দেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available