বাকৃবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) গত সাড়ে পনেরো বছরে শিক্ষার্থীদের ওপর হওয়া জুলুম, অন্যায় ও নির্যাতনের বিচার করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত কমিশন গঠন করে। এর মাধ্যমে শুরু হয় প্রথম ধাপের অভিযোগ গ্রহণ প্রক্রিয়া। প্রথম ধাপে শিক্ষার্থীদের থেকে শুধুমাত্র অভিযোগ গ্রহণ করা হয়। অভিযোগ দেওয়ার সময় ১০ নভেম্বর পর্যন্ত হলেও পরে সেটি বাড়িয়ে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত করা হয়।
১৮ নভেম্বর সোমবার অভিযোগ বাক্স খোলা হয়, সেখানে বিগত ছাত্রনেতা, শিক্ষক এবং কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শতাধিক গুরুতর অভিযোগ এসেছে। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, যৌন হয়রানি, র্যাগিংসহ কিছু গুরুতর অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। তদন্তের জন্যে এখন এর থেকে বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়। তবে শিক্ষার্থীরা চাইলে এখনও অভিযোগ দিতে পারবেন।
সোমবার বিষয়গুলো জানিয়েছেন তদন্ত কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকার।
জানা যায়, অভিযোগপত্রে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, যৌন হয়রানি, র্যাগিং, ইভটিজিং, গেস্টরুমে নির্যাতন, সিট বাণিজ্য এবং চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়ার সুযোগ ছিলো। ১০ অক্টোবর থেকে অনলাইনের মাধ্যমে বাকৃবির নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অভিযোগ গ্রহণ শুরু করেছিলো তদন্ত কমিশন। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে অনলাইন ফর্ম পূরণ, অথবা অভিযোগপত্রের ফর্ম ডাউনলোড করে হাতে পূরণ করে প্রশাসন ভবন, ছাত্র বিষয়ক বিভাগ এবং কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে স্থাপিত অভিযোগ বাক্সে জমা দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছিলো। তদন্ত কমিশন শিক্ষার্থীদের পরিচয় এবং গোপনীয়তা রক্ষার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছিলো।
তদন্ত কমিশনের এই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন অনেকে। অভিযোগগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি শিক্ষার্থীদের আস্থা ও প্রত্যাশা বৃদ্ধি পেয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available