নিজস্ব প্রতিবেদক: নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতকে সমৃদ্ধ করা, বিদেশ নির্ভর বিদ্যুৎ নীতি থেকে সরে আসা, বেকার ভাতা চালু করা, সাধারণ নাগরিকদের উপর ২০০০ টাকা কর আরোপ প্রত্যাহারসহ একটি জনমুখী বাজেট প্রণয়নের দাবিতে মানববন্ধন করেছে জাগ্রত বাংলাদেশ।
১০ জুন শনিবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত মানববন্ধনে সংগঠনের নেতারা দাবি করেন ‘নির্বাচনমুখী বাজেট নয়, জনমুখী বাজেট চাই’। এ সময় চলতি অর্থবছরের ঘোষিত প্রস্তাবিত বাজেটে জনগণকে উপেক্ষা করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তারা।
সংগঠনের সভাপতি আজমুল জিহাদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন ভুইঁয়া’র সঞ্চালনায় মানববন্ধনে জাগ্রত বাংলাদেশ (জে বিডি) এর কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর নেতারা বক্তৃতা করেন।
জাগ্রত বাংলাদেশের সভাপতি আজমুল জিহাদ তার বক্তব্যে বলেন, জনসংখ্যা বাড়ছে, সকল কিছুর দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে, অথচ ক্রমাগত কমছে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে বাজেটে বরাদ্দ। এর মাধ্যমে এটাই দৃশ্যমান হয়, যে একটা অশিক্ষিত ও অসুস্থ জাতি তৈরির চেষ্টা চলছে।
সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন ভুইঁয়া বলেন, যে বাজেটে জনগণের আশা আকাঙ্খার প্রতিফকলন ঘটে না, সে বাজেট কখনও জনমুখী বাজেট হতে পারে না।
তিনি বলেন, ২০২৩ -২৪ অর্থবছরের ঘোষিত প্রস্তাবিত বাজেটে জনগণকে উপেক্ষা করা হয়েছে। রাষ্ট্র বরাবরই তরুণদের বেকার বানিয়ে বেকারত্বের বোজা বাড়াচ্ছে। রাষ্ট্রের উচিৎ তরুণ উদ্যাক্তাদের জন্য বিনা সুদে ঋণের ব্যবস্থা করা। যাতে তরুণরা বেকারত্বকে ছাপিয়ে রাষ্ট্র গঠনে ভুমিকা রাখতে পারে।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন মামুন, আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট এ বি এম জোবায়ের, মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হায়দার রবিউল ইসলাম রবি, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট অভি, মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আসিফ আদনান, যুগ্মসচিব সৌরভ হোসেন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বেশকিছু সুনির্দিষ্ট দাবি পেশ করা হয়। এগুলো হলো-
১) নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতকে সমৃদ্ধ করে বিদেশ নির্ভর বিদ্যুৎ নীতি থেকে সরে আসতে হবে।
২) এই বাজেট থেকেই বেকার ভাতা চালু করতে হবে।
৩) কেরু এন্ড কোম্পানির আধুনিকায়ন করে উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে বাজেট নির্ধারণ করতে হবে।
৪) জনতার সম্পদ জ্বালানি খাতের গোপন চুক্তি প্রকাশ্যে আনা ও তেল গ্যাস সম্পদের বিদেশী চুক্তির স্বচ্ছতা আনয়ন করতে হবে।
৫) সাধারণ নাগরিকদের উপর ২ হাজার টাকা কর আরোপের নীল নকশা প্রত্যাহার করতে হবে। এনবিআর-ট্যাক্স সার্কেলের দুর্নীতি ধরতে হবে।
৬) টাকা পাচারকারী কারা? তার খুঁজে বের করে শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে। একই সঙ্গে বিদেশী টাকা দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
৭) কৃষক ও তরুণ উদ্দোক্তাদের সুদ মুক্ত ঋণ দিতে হবে।
৮) রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে আবেদনের ফী বাতিল করতে হবে।
৯) জিডিপির ৬% শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ দিতে হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available