ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি: জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে প্রায় দুই একর জমিতে প্রথম বারের মত চিনা বাদামের চাষ করা হচ্ছে।
উপজেলার বড়াইল ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামের কৃষক আব্দুর রশিদ (৫০) গত বছর জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে পরীক্ষামূলক ছয় শতাংশ জমিতে চিনা বাদাম চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছিলেন। তার সফলতা দেখে এ বছর মো. হয়দার আলী, মো. হারেজ, মাহমুদুল, হাফিজুল মন্ডল, আবু তাহের, বাহার উদ্দিন, আব্দুস সোবহান, জাহিদুল, বাবলু, আবু কাশেমসহ ওই গ্রামে ২৫-৩০ জন কৃষক প্রায় ৬-৭ বিঘা জমিতে এ বছর চিনা বাদাম চাষ করেছেন৷
চাষি আব্দুর রশিদ বললে, নতুন ফসল চাষ করা আমার সখ। এ বছর আমি ৭৫ কেজি চিনা বাদামের বীজ আমার আত্মীয়র বাড়ি থেকে নিয়ে এসে গ্রামের ২৫-৩০ জন কৃষককে দিয়েছি। তারা সকলেই চিনা বাদাম চাষ করছেন। আমি ১৬ শতাংশ জমিতে চিনা বাদাম চাষ করেছি। বাদাম চাষে তেমন খরচ নাই। এ বছর বাদামে তেমন কোনো রোগ হয়নি। ভালো ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। বাজারে বাদামের দামও ভালো। আশা করছি, আমরা লাভবান হব। আগামীতে যদি সরকার সহযোগিতা বা প্রণোদনা পেলে বড় পরিসরে এই এলাকায় কৃষরা চিনা বাদাম চাষের জন্য আগ্রহী হবে।
ওই গ্রামের হয়দার আলী (৩৮) নামের কৃষক জানান, আব্দুর রশিদকে বাদাম চাষ করতে দেখে আমরা অবাক হয়েছিলাম। পরে তার থেকে বীজ নিয়ে চিনা বাদাম চাষ করছি। বাদামের গাছ খুব সুন্দর হয়েছে। ভালো ফলনের আশা করছি।
দেউলিয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল গফুর জানান, চিনা বাদামের অনেক চাহিদা রয়েছে। অল্প খরচে বাদাম চাষে লাভ বেশি। জমি দেখে অনেক কৃষক আগামীতে বীজ নেওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
এ বিষয়ে ক্ষেতলাল উপজেলা কৃষি অফিসার জাহিদুর রহমান জানান, বাদাম সাধারণত বেলে মাটিতে ভালো হয়। তবে নদী এলাকা বা যেসব এলাকার মাটিতে বালির পরিমাণ বেশি সেসব এলাকাতেও চাষ করা যায়। ক্ষেতলালে এর আগে কেউ বাদাম চাষ করেছে বলে আমার জানা নাই। তবে কৃষক আব্দুর রশিদের মতো অন্যন্য যারা বাদাম চাষে আগ্রহী তাদের কৃষি অফিস থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। সেই সাথে তাদের উৎসাহিত করতে প্রণোদনার ব্যবস্থাও করা হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available