ভৈরব প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের ভৈরবে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলমকে ডিবি পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ৪ নভেম্বর শনিবার ভোরে ভৈরবের কলমপুর এলাকায় এক আত্মীয়ের বাসা থেকে তাঁকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও জেলা আইনজীবী ফোরামের সভাপতি জালাল উদ্দিন। বিএনপির মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার শনিবার সকালে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলার সভাপতি শরীফুল আলম কুলিয়ারচর থানায় পুলিশের করা ২ টি মামলার প্রধান আসামি। কুলিয়ারচর থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাউসার বলেছেন, শরীফুল আলমের আটকের কথা শুনেছি। শরীফুল আলমকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
শরীফুল আলমের সঙ্গে ভৈরব উপজেলা বিএনপি নেতা ভিপি সাইফুল হক, নূরুজ্জামান মিয়া, মাজহারুল ইসলাম ও শরীফুল আলমের গাড়িচালক রতনকেও আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জালাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেননি।
৩ দিনের অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিন ৩১ অক্টোবর কুলিয়ারচরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি কর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এদিন কৃষকদল নেতা বিল্লাল হোসেন ও যুবদল নেতা রেফায়েত উল্লাহ তনয় নামে ২ জন নিহত হন। আর কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম মোস্তফাসহ ১৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়। ওসি গোলাম মোস্তফা এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ডিউটি অফিসার এসআই কাউসার।
শরীফুল আলমকে আটকের নিন্দা জানিয়েছেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জালাল উদ্দিন ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম। তাঁরা অবিলম্বে শরিফুলের মুক্তির দাবি জানিয়ে ভৈরব পৌর বিএনপির সভাপতি হাজী শাহিন, সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান, ভৈরব উপজেলা যুবদলের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন সুজন ও সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে রোববার ভৈরবে হরতালের ঘোষণা দেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available