নিজস্ব প্রতিনিধি, গাইবান্ধা: গাইবান্ধার ফুলছড়িতে জমি নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত কৃষক নুরুন্নবীর মৃত্যুর বিচারের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজপথ ও অলিগলি।
১৯ মার্চ মঙ্গলবার সকালে নিহতের স্বজন ও গ্রামবাসী বিচারের দাবিতে থানা ঘেরাও করে তীব্র প্রতিবাদ করে। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে গ্রামবাসীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। নিহত নুরুন্নবী উদাখালি ইউনিয়নের দক্ষিণ বুড়াইল গ্রামের গ্যাদা শেখের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ দিন ধরে ফুলছড়ি উপজেলার উদাখালি ইউনিয়নের দক্ষিণ বুড়াইল গ্রামের বাসিন্দা নুরুন্নবী মিয়ার সঙ্গে পাশের বাাড়ির গোলজার মিয়ার জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল।
এরপর ১৮ মার্চ সোমবার সকালে নুরুন্নবী মিয়া বিবাদমান জমিতে নামলে প্রতিপক্ষ গোলজার মিয়া ও তার লোকজন নুরুন্নবী মিয়ার ওপর হামলা চালায়। এতে নুরন্নবী মিয়াসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা গুরুতর আহত নুরুন্নবী মিয়াকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মঙ্গলবার ভোরে নুরুন্নবী মিয়ার মৃত্যু হয়।
নুরুন্নবীর মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে নুরুন্নবীর স্বজন ও গ্রামবাসী ফুলছড়ি থানা ঘেড়াও করে ইঁট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এক পর্যায়ে বিক্ষুদ্ধরা মরদেহ নিয়ে থানায় প্রবেশ করলে পুলিশ তাদের লাটিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে বিক্ষুদ্ধ গ্রামবাসী উপজেলার সামনে হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করে। এ সময় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা ঘটনাস্থলে এসে বিচারের আশ্বাস দিলে ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন শেষ করে বিক্ষুদ্ধ গ্রামবাসী।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, 'এই ঘটনায় উভয় পক্ষের সাতজনের বেশি আহত হয়েছেন। উভয় পক্ষের মামলা নেয়া হয়েছে। আহত নুরুন্নবী মারা যাওয়ায় মামলাটি হত্যা মামলায় রুপান্তিত হবে। এই ঘটনায় আব্দুল গোফফার ও জহুরুলকে আটক করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে'।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available