শাল্লা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি: ঘূর্ণিঝড় রিমালের পর পাঁচদিন পেরিয়ে গেলেও সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় এখনো বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল হয়নি। উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ দাপ্তরিক কাজগুলো নিয়েও বিপাকে পড়েছেন কর্মকর্তারা। এমনকি শাল্লা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরাও পড়েছেন বিপদে।
পিডিপির আওতায় অন্তর্ভুক্ত শাল্লা উপজেলা। গুরুত্বপূর্ণ এই উপজেলায় ৫দিন ধরে বিদ্যুৎ পাননি। এতে জনজীবনে চরম বিপর্যয় নেমে এসেছে। ফলে রান্নাবান্না, পড়াশোনাসহ টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট পরিসেবাও ব্যাহত হচ্ছে। পুরো এলাকা যেন অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে রয়েছে।
বিদ্যুৎ অফিস বলছে, প্রচণ্ড ঝড়ের কারণে অনেক জায়গায় বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙ্গে পড়ায় এবং গাছপালা পড়ে তার ছিঁড়ে যাওয়ার কারণে এমনটা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে রবিবার থেকে উপজেলার সর্বত্র বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ আসেনি। ফলে জনজীবন অসহনীয় হয়ে ওঠেছে। বিদ্যুতের অভাবে রান্নাবান্না বন্ধ, শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা বন্ধ, ফ্রিজ বন্ধ, মোবাইল বন্ধ, ইন্টারনেট বন্ধ। এমনকি অসহনীয় গরমে রাতে ঘুমানো যাচ্ছে না।
উপজেলা সদরের বাসিন্দা বকুল আহমেদ বলেন, বর্তমানে বিদ্যুৎ ছাড়া চলা সম্ভব নয়। এমন অবস্থায় রবিবার থেকে কোনো বিদ্যুৎ নেই। ফলে ফ্রিজ গলে পানি পড়ছে। মোবাইল ও ইন্টারনেট বন্ধ রয়েছে। ফ্রিজের সব বরফ গলে গেছে, তাই অনেকের খাবার-দাবার নষ্ট হয়ে গেছে।
থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) যিশু দত্ত বলেন, বিদ্যুতের অভাবে থানার গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো আটকে আছে। ৫ দিন ধরে অন্ধকারে কাটাতে হচ্ছে। থানায় আলো রাখার জন্য আমরা পুরো দিনের হারিকেন জ্বালিয়ে কোনোভাবে চলছি। এর সমধান দ্রুত করা খুবই প্রয়োজন।
সুনামগঞ্জ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু নুয়মান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বিদ্যুতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমরা সোমবার সকাল থেকেই এসব সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। মঙ্গলবার থেকেই কিছু কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। আশা করছি শাল্লায় আজকের মধ্যেই (বৃহস্পতিবার) বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available