রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: গত সোমবার থেকে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ৭০ গ্রাম বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় বাসা-বাড়িতে প্রাত্যহিক কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কার্যালয়ে নিয়মিত কাজ-কর্মে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। অনেকের মুঠোফোনে চার্জ না থাকায় যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হতে আরও দু’দিন সময় লাগতে পারে।
ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ৬ মে সোমবার বিকেলে কাল বৈশাখী ঝড়ে গাছ পড়ে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের তাঁর ছিড়ে যায়। এরপর থেকে পুরো রাঙ্গুনিয়া বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে। রাতে কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হলেও বেশিরভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল।
৭ মে মঙ্গলবার দুপুরের দিকে উপজেলার সদর, শান্তিরহাটসহ দুয়েকটি গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হলেও উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া সম্ভব হয়নি।
পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এক সাথে একাধিক স্থানে বিদ্যুতের খু্ঁটি ভেঙ্গে পড়া ও তার ছিঁড়ে যাওয়ার কারণে পর্যায়ক্রমে কাজ করতে হচ্ছে। তাছাড়া লোকবলও কম। তাই বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন চালু করতে বেশি সময় লাগছে।
ভুক্তভোগী গ্রাহক রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার দক্ষিণ সৈয়দবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মো. দিদার বলেন, ‘রোববার থেকে এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। ঘরে ঘরে ফ্রিজে রাখা জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। ব্যবহার ও খাবার পানি সংকটে অনেকেই দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। মানুষের অবর্ণনীয় কষ্ট বলে বুঝানো যাবে না। অথচ, কখন বিদ্যুৎ আসবে বলতে পারছেন না কর্মকর্তারা।’
কোদালা ইউনিয়নের সন্দ্বীপপাড়া এলাকার বাসিন্দা আমজাদ হোসেন বলেন, ‘মুঠোফোনে চার্জ না থাকায় কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। বিদ্যুৎ না থাকায় খুব কষ্টের মধ্যে দিন অতিবাহিত করছে এলাকার লোকজন। কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেও কোনো সমাধান পাওয়া যাচ্ছে না।
রাঙ্গুনিয়া পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের সহকারী উপ-ব্যস্থাপক খালিদ মাসুদ মজুমদার বলেন, বিদ্যুতের লাইনের ওপর গাছ পড়ার কারণে সরবরাহ লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। গাছ সরিয়ে সরবরাহ লাইন চালু করতে সময়ের প্রয়োজন হচ্ছে।’
চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার সরওয়ার জাহান বলেন, ‘অনেক এলাকায় বিদ্যুতের তার ছিড়ে মাটি ছুঁয়েছে। অনেক জায়গায় খুঁটি ভেঙ্গে গেছে। লোকজন কম থাকায় কাজ করতে সময় লাগছে। স্বাভাবিক কখন হবে বলা যাচ্ছে না। তবে লোকজন মাঠে রয়েছে।’
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available