আন্তর্জাতিক ডেস্ক: লেবাননের বিভিন্ন স্থানে ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন ডিভাইস বিস্ফোরণের কমপক্ষে ২০ জন নিহত এবং ৪৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।
১৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার লেবাননের কয়েকটি স্থানে হিজবুল্লাহর সদস্যদের ব্যবহার করা কয়েক হাজার পেজার (যোগাযোগের তারহীন যন্ত্র) একযোগে বিস্ফোরণের ঘটনায় দুই শিশুসহ ১২ জন নিহত হয়। আহত হয় প্রায় তিন হাজার। পরে বুধবার আবারও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সবমিলিয়ে মোট নিহত হন অন্তত ২০ জন।
বিস্ফোরণের ঘটনার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে হিজবুল্লাহ। কিন্তু এখন পর্যন্ত লেবাননের বিস্ফোরণ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েল।
বুধবার বিস্ফোরণের ঘটনার পর নিজেদের সেনাদের প্রশংসা করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেন, আমরা যুদ্ধের একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা পর্বে রয়েছি। এখন আমাদের সাহস, সংকল্প ও উদ্যম দরকার।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর দাবি, পেজার বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত ছিল দখলদার ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। প্রায় ৫ মাস আগে লেবাননে আসা এসব পেজারে বিস্ফোরক স্থাপন করে দিয়েছিল মোসাদ। ধারণা করা হচ্ছে, ওয়াকিটকিতেও একই কায়দায় বিস্ফোরক ভরে দেওয়া হয়েছিল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, গত মঙ্গলবার নিহত ব্যক্তিদের জানাজার নামাজের জন্য জড়ো হয়েছেন অনেকে। ঠিক তখনই বিরাট বিস্ফোরণে এলাকাটি কেঁপে ওঠে।
বিবিসি জানিয়েছে, বুধবার নতুন করে ওয়াকিটকিতে যে বিস্ফোরণ ঘটেছে এটি হিজবুল্লাহর জন্য আরেকটি বড় ধাক্কা। এ মুহূর্তে হিজবুল্লাহর যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।
নতুন করে বিস্ফোরণে আরও মানুষ আহত ও নিহত হওয়ার পর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে হিজবুল্লাহ। আজ ১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার হিজবুল্লাহর প্রধান নেতা হাসান নাসরুল্লাহ ভাষণ দেবেন। দলটির উপপ্রধান জানিয়েছেন নাসরুল্লাহ তার ভাষণে দিকনির্দেশনা দেবেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available