আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর সাবেক শীর্ষ কমান্ডার কাসেম সোলাইমানির স্মরণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জোড়া বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০৩ এ দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও প্রায় দুই শতাধিক মানুষ। যাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন।
৩ জানুয়ারি বুধবার দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কেরমান শহরে কাশেম সোলাইমানির সমাধিস্থলের পাশে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিস্ফোরণের একাধিক ভিডিওতে বেশ কিছু মরদেহ রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার কাসেম সোলাইমানির চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শত শত মানুষ হেঁটে হেঁটে তার সমাধিস্থলের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ করেই বিকট শব্দে একটি বোমা বিস্ফোরিত হয়। এর কিছুক্ষণ পর বিস্ফোরিত হয় আরও একটি বোমা। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান অন্তত ২০ জন। হাসপাতালে নেয়ার পর মৃত্যু হয় বাকিদের।
প্রাথমিক তদন্তে কর্তৃপক্ষ বলছে, রিমোট নিয়ন্ত্রিত বোমার মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এদিকে কেরমানের ডেপুটি গভর্নর বিস্ফোরণের এই ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে অভিহিত করেছেন।
ইরানের আরেক বার্তা সংস্থা তাসনিম নিউজ এজেন্সি বলছে, জেনারেল কাশেম সোলাইমানির সমাধিস্থল থেকে ৭০০ মিটার দূরে প্রথম বিস্ফোরণ ঘটেছে। এরপর দ্বিতীয় বিস্ফোরণ ঘটেছে সমাধিস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে। বিস্ফোরণ স্থানের ভিডিও ফুটেজের সাথে তাসনিমের এই তথ্যের মিল আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ ভিডিওতে দেখা যায়, বিস্ফোরণে কাশেম সোলাইমানির সমাধিস্থল ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
তবে কারা, কেন এ হামলা করেছে এখনো তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কোনো সংগঠনও এখন পর্যন্ত এ হামলার দায় স্বীকার করেনি।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি ইরাকের বাগদাদ বিমানবন্দরে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন কাশেম সোলাইমানি। তাকে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির পর দেশটির 'সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি' বলে মনে করা হতো।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available