আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলি আগ্রাসনে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা বাড়ছেই। অক্টোবরে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরথেকে ৬ মাস ধরে গাজায় তাণ্ডব চালাচ্ছে ইসরায়েল। সেখানকার বাড়ি-ঘর, মসজিদ, হাসপাতালসহ কোনো স্থাপনাই ইসরায়েলি হামলা থেকে বাদ পড়েনি।
ইতোমধ্যেই দেশটির গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত সেখানে ৩৩ হাজার ৩৭ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৭৫ হাজার ৬৬৮ জন। যুদ্ধ বিরতি বা শান্তি রক্ষায় বৈঠক, আন্দোলন বা আন্তর্জাতিক মহলের তৎপরতা থাকলেও থেমে নেই ইজরায়েল।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলি সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল। সে সময় থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি সৈন্যদের হামলায় প্রতিদিনই সেখানে শত শত ফিলিস্তিনি প্রাণ হারাচ্ছেন।
এদিকে গাজায় অব্যাহত হামলার কারণে সেখানে ত্রাণ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সম্প্রতি গাজায় ইসরায়েলি সৈন্যদের হামলায় ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের (ডব্লিউসিকে) সাতজন সাহায্য কর্মী নিহত হয়েছেন। এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে সংস্থাটি তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে।
এই সংস্থাটির সঙ্গে কাজ করা অন্য একটি দাতব্য সংস্থা আনেরা। নিজেদের স্টাফ এবং তাদের পরিবারের লোকজনের জীবনের ঝুঁকি বাড়তে থাকায় আনেরাও জানিয়েছে যে, তারা তাদের কার্যক্রম বন্ধ করেছে।
ফিলিস্তিনজুড়ে সপ্তাহে ২০ লাখ মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করে থাকে এই দুই সংস্থা। জাতিসংঘ ইতোমধ্যেই সতর্ক করেছে যে, ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞা, চলমান আগ্রাসন এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে গাজার অর্ধেক জনসংখ্যা চরম খাদ্য সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে।
এদিকে নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিল সতর্ক করেছে যে, ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের সঙ্গে যা ঘটেছে তা পুরো ত্রাণ ব্যবস্থাকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে।
ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের (ডব্লিউসিকে) প্রতিষ্ঠাতা হোসে আন্দ্রেজ অভিযোগ করে বলেন, গাজায় ত্রাণ সংস্থার কর্মীদের প্রতিটি গাড়িকে সুপরিকল্পিতভাবে লক্ষ্যবস্তু করছে ইসরায়েলি বাহিনী।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available