রাঙামাটি প্রতিনিধি: আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রাঙামাটির লংগদুতে প্রতিপক্ষের ব্রাশ ফায়ারে পার্বত্য চুক্তি বিরোধী সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ইউপিডিএফ’র দুই সক্রিয় কর্মী নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- তিলক চাকমা (৪৫) ও ধন্যমনি চাকমা (৩৫)।
১৮ মে শনিবার সকালে লংগদু’র বড় হাড়িকাবার ভালেদি হাট এলাকায় এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে। ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর রাঙামাটি জেলা ইউনিটের সংগঠক সচল চাকমা নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রাঙামাটি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফ আহম্মেদ জানিয়েছেন, নিহতের বিষয়টি অবহিত হয়েছি। নিহতদের মরদেহ উদ্ধারে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম রওয়ানা দিয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পেীঁছানোর পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সচল চাকমা জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে ৮টা সময় লংগদুর বড়হাড়িকাবার ভালেদি ঘাটের পার্শ্ববর্তী স্থানে সন্তু গ্রুপের ৭ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী এসে সেখানে সাংগঠনিক কাজে নিয়োজিত ইউপিডিএফ কর্মীদের উপর হামলা চালায়। এ হামলায় ঘটনাস্থলে ইউপিডিএফ সদস্য বিদ্যা ধন চাকমা ওরফে তিলক (৪৫) ও সমর্থক ধন্য মনি চাকমা (৩৫) নিহত হন।
নিহত ইউপিডিএফ সদস্য বিদ্যাধন চাকমার পিতার নাম সময় মনি চাকমা। তিনি রাঙামাটি লংগদু থানার কাট্টলী এলাকার কুকিছড়া গ্রামের অধিবাসী। সমর্থক ধন্য মনি চাকমার পিতার নাম লেংগ্যা চাকমা। তিনি একই জেলা ও থানার ধুধুকছড়া গ্রামের অধিবাসী।
ইউপিডিএফ’র পক্ষ থেকে পাঠানো বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, এই হত্যাকাণ্ডের নেতৃত্বে ছিলো লক্ষ্মী মনি চাকমার ছেলে পোয়া চাকমা ওরফে আপন। তার বাড়ি বড় হাড়িকাবার পাশে কুট্টছড়ি গ্রামে। পোয়া চাকমা সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস’র সক্রিয় সন্ত্রাসী।
বিবৃতিতে সচল চাকমা অবিলম্বে লংগদুতে ইউপিডিএফ কর্মী, সমর্থককে হত্যাকারী খুনি সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। সন্ত্রাসীদের মদদদাতা সন্তু লারমাকে গ্রেফতারপূর্বক আঞ্চলিক পরিষদ থেকে অপসারণ করে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানান তারা।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available