মাসুদ রানা, বাসাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: ঔষধি ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ব্ল্যাক রাইস চাষে সাফল্য লাভ করেছেন টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার তরুণ উদ্যোক্তা নাহিদ মিয়া (২৩)। পড়াশোনার পাশাপাশি শখের বসে ৫০ শতাংশ জমিতে এ ধানের চাষ করেছেন তিনি।
নাহিদ মিয়া বাসাইল পৌরসভার পশ্চিম পাড়া গ্রামের নাছির উদ্দিনের ছেলে। সে সরকারি সা'দত কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার কাউলজানী ইউনিয়নের সেহরাইল গ্রামে নিজেদের ৫০ শতাংশ জমিতে ব্ল্যাক রাইস ধান চাষ করেছেন নাহিদ। চমৎকার এ ধান দেখতে অনেকেই ভিড় করছেন তার ধান ক্ষেতে। ভালো ফলর হওয়ায় অনেক কৃষকই এখন আগ্রহী হচ্ছেন ব্ল্যাক রাইস চাষে। ভিয়েতনামী জাতের এ ব্ল্যাক রাইস ধানের বীজ অনলাইনের মাধ্যমে সংগ্রহ করেন নাহিদ মিয়া।
নাহিদ মিয়া বলেন, ইউটিউবে প্রথম এ ধানের চাষাবাদের বিষয়ে দেখেন ও বিস্তারিত জানেন। পরে অনলাইনে থেকে ব্ল্যাক রাইস ধানের বীজ সংগ্রহ করেন। ৫০০ টাকা কেজি দরে ভিয়েতনামি ব্ল্যাক রাইসের ৫ কেজি বীজ সংগ্রহ করেন। ৫ কেজি বীজ কিনতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ২৫০০ টাকা। ৫০ শতাংশ জমিতে ধান চাষ করতে নাহিদ মিয়ার মোট খরচ হয়েছে ৭০০০ টাকা।
তিনি আরও বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি শখের বসে প্রথমবারের মতো এই ধান চাষে করেছি। জমিতে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। আশা করছি ৫০ শতাংশ জমিতে ৪০-৪৫ মণ ধান হবে। প্রথমবারেই এত ভালো ফলন হবে ভাবতে পারিনি। আগামী বছর আরও বেশি জিমিতে ব্ল্যাক রাইস ধানের চাষ করতে চাই। নাহিদের ধানক্ষেত দেখে উৎসাহিত হয়ে এখন স্থানীয় অন্যান্য কৃষকরাও এ ধান চাষ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। তার কাছে পরামর্শ নিয়ে অনেকেই ব্ল্যাক রাইস ধানের বীজের জন্য প্রি অর্ডার করেছেন। তাই নাহিদের ইচ্ছা এই ধান বীজ হিসেবে সংরক্ষণ করে অল্প দামে কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার। নাহিদ বলেন ব্ল্যাক রাইস চাষ খুবই সহজ, ৯০ থেকে ১০০ দিনের মধ্যেই এ ধান কাটা যায়।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available