মাধবদী (নরসিংদী) প্রতিনিধি: মাধবদীতে পৌর কার্যালয়, পুলিশ ফাঁড়ি, পোস্ট অফিস, পল্লী বিদ্যুৎ অফিস, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন ও ভাঙচুর চলানো হয়। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে চলেছে এই ধ্বংসযজ্ঞ। আগুনে পুড়ে গেছে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ নথি। পৌর কার্যালয়ের পাশে থাকা ইসলামী ব্যাংকের এটিএম বুথেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। গত ১৮, ১৯ ও ২০ তারিখে চলেছে এই ধ্বংসযজ্ঞ।
হোটেল কাওয়ান সিঙ্গাপুর কটেজে চালানো হয় ভাঙচুর, আগুনে ক্ষতি প্রায় ২ কোটি টাকা, রক্ষা পায়নি মসজিদও। গেল ১৯ জুলাই শুক্রবার রাত আনুমানিক ৮টার দিকে দেড়শতাধিক হামলাকারী মাধবদী ড্রীম হলিডে পার্কের পাশে অবস্থিত হোটেল কাওয়ান সিঙ্গাপুর কটেজে নজিরবিহীন ধ্বংসযজ্ঞ চালায়।
সেইসঙ্গে পুড়িয়ে দেওয়া হয় ৪টি ভিআইপি কক্ষ। কটেজের ভেতরে থাকা মসজিদটিতেও ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। হোটেলের সব জায়গাতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে ছিল ব্যবহৃত বিভিন্ন আসবাবপত্র ও আগুনে ভস্মীভূত মূল্যবান জিনিসপত্র। দুর্বৃত্তদের অগ্নিসন্ত্রাসের হাত থেকে রক্ষা পায়নি বাইরে পার্কিং এ থাকা একটি জিপ।
২ তলা ভবনের সবকটি কক্ষেই চালানো হয় লুটপাট ও ভাঙচুর। সেই সাথে কাচের কোনো জিনিস অবশিষ্ট রাখা হয়নি। ভাঙা কাচ ও আগুনে পোড়া কক্ষের ভেতর প্রবেশ অনেকটাই দুরূহ। পরেরদিন বিকেলে ভবনের ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে কাজ করছিলেন হোটেল ও রেস্টুরেন্টের মালিক সিঙ্গাপুর প্রবাসী সাইদুল হক।
তার সঙ্গে কথা হলে এই প্রতিবেদককে তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে ১টি গাড়ি পুড়ে গেছে। গ্রাউন্ড ফ্লোর, ফার্স্ট ফ্লোর ও সেকেন্ড ফ্লোর সিরিয়াস ড্যামেজ হয়েছে। বৈদ্যুতিক লাইন, জেনারেটর সিস্টেম- এগুলো সব বিকল হয়ে গেছে। ফ্যান, এসি ও আইপিএস মালামাল চুরি হয়ে গেছে। ভবনের ভেতর ও বাইরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যার পরিমাণ কমপক্ষে ২ কোটি টাকা। আমি একজন প্রসাবী বাংলাদেশি। এমন পরিস্থিতির নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দাবি করছি এবং আমি নিজেও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available