কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় পদ্মা নদীতে নিখোঁজের দুই দিন পর আরেক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মুকুল হোসেনের (৪০) মরদেহটি খোঁজ পাওয়া গেছে।
৩০ অক্টোবর বুধবার সকাল ৭টার দিকে পাবনার সুজানগর থানার নাজিরপুর এলাকায় পদ্মা নদীতে মরদেহটি ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। নৌ পুলিশেরর একটি দল উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে সুজানগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. গোলাম মোস্তফা।
থানার ওসি বলেন, নাজিরপুর এলাকায় নদীতে এক পুলিশের ভাসমান মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। গিয়ে দেখা যায় মরদেহটি এএসআই মুকুলের। কুমারখালী থানা পুলিশকেও খবর দেওয়া হয়েছে। নদীর ঘটনা হওয়ায় নৌ পুলিশ কাজ করছে।
এরআগে ২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেল তিনটার দিকে অপর সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সদরুল হাসানের (৪০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ খেয়াঘাট এলাকা থেকে ভাসমান মরদেহটি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
এরআগে অবৈধভাবে মৎস্য শিকারী দুর্বৃত্ত জেলেদের হামলায় সোমবার ভোরে উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের শ্রীখোল এলাকায় নিখোঁজের ঘটনা ঘটে। এছাড়াও এ ঘটনায় আহত হয়েছেন এক উপ উপরিদর্শক ও দুই ইউপি সদস্য।
নিহত সহকারী উপপরিদর্শক সদরুল হাসান পাবনার আতাইকুলা থানার কাজিপুর গ্রামের আব্দুল ওহাবের বড় ছেলে। আর সহকারী উপরিদর্শক মুকুল হোসেন (৪০) মেহেরপুরের কালাচাঁদপুর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের ছেলে। তারা কুমারখালী থানায় কর্মরত ছিলেন।
আহতরা হলেন- কুমারখালী থানার উপপরিদর্শক নজরুল ইসলাম, কয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর সদস্য ছানোয়ার হোসেন ছলিম ও ৬ নম্বর সদস্য আনোয়ার হোসেন টিটন।
কুমারখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সাব অফিসার ফিরোজ আহমেদ বলেন, আজ ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৪০/৪৫ কিলোমিটার দূরে পাবনার সুজানগরের নাজিরপুর এলাকায় এএসআই মুকুলের মরদেহটি পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার ঘটনাস্থল থেকে আনুমানিক দুই কিলোমিটার দূর থেকে ভাসমান অবস্থায় নিখোঁজ পুলিশ সদরুলের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজ ব্যক্তিরা উদ্ধার হওয়ায় তাদের অভিযান স্থগিত করা হয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available