মেহেরপুর প্রতিনিধি: মেহেরপুর জেলায় দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে একুরিয়াম মাছ চাষ। শুরুতে শখের বসে একুরিয়াম মাছ চাষ করা হলেও বর্তমানে বাণিজ্যকভাবে চাষ করে লাভবান হচ্ছেন অনেকে। এ জেলায় স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ অন্তত তিনশতাধিক মানুষ অর্থ উপার্জনের জন্য বাণিজ্যিকভাবে একুরিয়ামে মাছ চাষ করছেন। সরকারের সহযোগিতা পেলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বাইরে রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে সক্ষম হবেন এখানকার একুরিয়াম মাছ চাষিরা।
এক সময় শহরের অভিজাত বাসা-বাড়ি, বাণিজ্যিক ভবন কিংবা অফিসের শোভা বৃদ্ধির জন্য একুরিয়ামে বিভিন্ন প্রজাতির সৌখিন মাছ সাজিয়ে রাখা হতো। শুরুতে অনেকেই শখের বসে এই মাছ চাষ শুরু করলেও এখন বাণিজ্যিকভাবে চাষ করছেন অনেকে। গোল্ড ফিস শুধু কাচের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, উপার্জনের উৎস হিসেবে চৌবাচ্চা তৈরি করে চাষাবাদ করা হচ্ছে। বাহারি মাছের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রজাতি ও আকার অনুযায়ী মাছের দাম প্রতি পিচ ২০ টাকা থেকে শুরু করে প্রায় ৩শ’ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
বাহারি এসব মাছ চাষ করতে খুব বেশি জায়গার প্রয়োজন হয় না। ট্যাংক তৈরি করে সেখানে চাষ করা যায়। এই প্রযুক্তিতে মাছ চাষ খুব সহজসাধ্য, স্বল্প সময়সাপেক্ষ এবং অতি লাভজনক। এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ বাড়ির আঙ্গিনায়ও করা সম্ভব।
কংক্রিটের তৈরি চৌবাচ্চায় গোল্ড ফিশ ওরেন্টা গোল্ড, গাপ্পি, কমেট, ব্লাকমোর, কিচিং, লাল, নীল, কমলা, কালো, বাদামি, হলুদ রঙের মাছ চাষ হয়।
গাংনী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুস সহিদ বলেন, একুরিয়াম ফিস চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই মাছচাষ সম্প্রসারণে তাদের সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available