হাবিপ্রবি প্রতিনিধি: চড়ুইভাতি শব্দটি শুনলেই শৈশবের কথা মনে পড়ে যায়। সময়ের স্রোতে স্মৃতিতে ধুলো জমলেও শব্দের চিত্রকল্পে ধুলো জমে না। চড়ুইভাতি যেনো স্মৃতির কুয়াশাঘেরা জীবনে আগুনের উষ্ণতা। এই সোনালী স্মৃতি তৃপ্ত করে চলে সারা জীবন ।
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) অধ্যায়রত টাঙ্গাইলের শিক্ষার্থীদের মাঝে ভ্রাতৃত্ব বাড়াতে এবং জীবনের একঘেঁয়েমি কাটাতে আয়োজন করা হয়েছে প্রাণবন্ত এই চড়ুইভাতি । কর্মব্যস্ত জীবনে একটু অবসরের স্বাদ নিতে সবাই অংশগ্রহণ করেন চড়ুইভাতিতে।
২৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুলমাঠে ২০ ব্যাচের উদ্যোগে এই বনভোজনটি অনুষ্ঠিত হয় । চড়ুইভাতিতে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো শাহাদত হোসেন খান ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অধ্যাপক ড. মো শাহাদত হোসেন খান বলেন, "আজকের এই আয়োজন দেখে আমি অভিভূত । শিক্ষার্থীদের এমন মিলনমেলা আমাকে মুগ্ধ করেছে । বনভোজনে আসা শিক্ষার্থীসহ নেপথ্যের কারিগরদের তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান" ।
বনভোজন অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন- হাফিজুর রহমান অর্ক, মো. সবুজ, মাহতাব হাসান রাদিত, আহনাফ আসিফ, নাজমুল খান । এ সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন, মো রূপম মালিক , অংকুর সূত্রধর ও আশিকুর রহমান আশিক ।
বনভোজনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা জানান, এ ধরণের মিলনমেলা আমাদের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধন, ঐক্য, সংহতিতে আরও দৃঢ় করবে।
বনভোজনের শেষ পর্ব ছিল পরিচিতি ও অনুভূতি প্রকাশ । এছাড়া ছিলো র্যাফেল ড্র, পুরস্কার বিতরণী এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন । আড্ডা, গান আর খাওয়া দাওয়া করতে করতে দিন শেষে সন্ধ্যা নামল হাবিপ্রবির বুকে। সেই পুরোনো সন্ধ্যা, একই মানুষ, একই ক্যাম্পাস। তবে দিনটি ছিল অন্যদিনের চেয়ে একটু আলাদা । সব মিলিয়ে শৈশবের সেই রোমাঞ্চকর দিনগুলোতে যেন ফিরে গেল সবাই আরেকবার ।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available