যবিপ্রবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি চালুর দাবিতে মানববন্ধন করেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগ।
২ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুর বরোটায় যবিপ্রবির প্রধান ফটকের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতি চালুর দাবি জানান শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
মানববন্ধনে যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি সোহেল রানার সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সাল, সহ-সভাপতি নাজমুস সাকিব, সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম হৃদয়'সহ প্রায় অর্ধশত নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা অনুযায়ী আজকের এই মানববন্ধন। মানবন্ধন থেকে বলতে চাই বুয়েট শিক্ষার্থী ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য ইমতিয়াজ রাহিম রাব্বিকে স্বসম্মানে আবাসিক হলে সিট ফিরিয়ে দিতে হবে। বুয়েট থেকে জঙ্গীবাদ ও মৌলবাদের শিকড় উৎপাটন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বুয়েটে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের কমিটি থাকলেও কেনো প্রগতিশীল ও স্বাধীনতার পক্ষে রাজনৈতিক সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে বুয়েট প্রশাসনের এত মাথাব্যথা? বুয়েট প্রশাসনকে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির কালোছায়া ছাত্রশিবির ও হিজবুত তাহরীরের শিকল থেকে বের হয়ে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে নিয়মতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল ছাত্ররাজনীতিকে অনুমোদন দিতে হবে।
মানববন্ধনে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সাল বলেন, গত পাঁচ বছর আগে বুয়েটে একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে গেছে। সেখানে আবরার ফাহাদের মরদেহের উপর একটি মৌলবাদী গোষ্ঠী রাজনীতি শুরু করেছে। সেদিন বুয়েটের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন করলেও তাদের পিছনে একটি চক্র কাজ করেছে। বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ এখানে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি শিক্ষার্থীর গনতান্ত্রিক প্রগতিশীল রাজনৈতিক চর্চার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে । প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাজনীতির মাধ্যমেই নিজেদের মতামত প্রকাশ করে। বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরে নয়। আমার মনে হয় বুয়েট প্রশাসন শিক্ষার্থীদের সাংবিধানিক অধিকারের উপর হস্তক্ষেপ করছে যেটা একটি গনতান্ত্রিক দেশে মোটেও কাম্য নয়। আমাদের দাবি বুয়েটের ছাত্ররাজনীতি নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় চলবে। হাইকোর্ট ইতোমধ্যে বলেছে এখানে ছাত্ররাজনীতিতে বাধা নেই। আমরা এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ মার্চ মধ্যরাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি, দফতর সম্পাদকসহ অনেক নেতাকর্মী বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাব্বি। ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ার পর বুয়েটে এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে নতুন করে রাজনীতি শুরুর পাঁয়তারা হিসেবে দেখছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ পাঁয়তারা রুখে দিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available